-
চলো যাই ভিন দেশে
১ উৎসবের দিন হলে বড়মা থালা সাজিয়ে খেতে দেন। বড় জেঠু আর বাবা একসঙ্গে খেতে বসেন। আজ সংক্রান্তি। আজ আমাদের নিরামিষ আহার। প্রায় সাতটা কাঁসার বাটি; বড় কাঁসার থালার পাশে সাজানো। বড়মা ধীর স্থির শান্ত স্বভাবের মানুষ। দেশ যে আজ উত্তপ্ত তার কোন ছাপ বড়মার মুখের কোথাও নেই। এই মাধবদীতে তিনি সবার বড়মা। সে কী […]
-
আউল গোঁসাই এর সমাধি
সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি। দ্বারিকবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে বিজুরি গ্রামের সামনে রাস্তায় দাঁড়াবেন। সাঁইথিয়া হয়ে পৌঁছতে এক ঘন্টার সামান্য বেশি সময় লাগে। কিন্তু আমি ঠিক করেছি পাকা সড়ক না ধরে সাংড়া আর হাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়ে সিউড়ি সাঁইথিয়া সড়কে উঠব। সপ্তাহখানেক আগে ঈশ্বরপুর-হাতোড়া রাস্তা মোরাম বোল্ডার দিয়ে […]
-
রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যে পরিবেশ চেতনা
” মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণ ছিল তার আদানপ্রদান ; ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারাল; যে তার প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করলে ইঁটকাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য । আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে […]
-
যে হাসি অগাধ করে তোলে
শুধু কবিতার জন্য এ জীবনে কত কিছু হল! কত আলো, কত অন্ধকার৷ কত সম্মান, কত বঞ্চনা। শুধু কটা শুদ্ধ অক্ষর, যদিও নিতান্ত সব নিজ সুখ দুঃখের গালগল্প। বৃহৎ বোধের থেকে কত দূর তারা৷ আমার আজকাল লজ্জাই লাগে। এতো তো পাবার কথা ছিল না কোন। বেঁচে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্ত হয়ে উঠি তখন আশীর্বাদের ঝাঁপি খুলে […]
-
দা-আ-স্তানগো
১ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই সন্ধ্যের মুখে মুখে জালালাবাদের ওপর দিয়ে বয়ে আসা পানশিরের ঠাণ্ডা হাওয়ার ভূমিকাটা নিয়ে নেয় মরু অঞ্চলের শুকনো ধুলোর ঝড় । কিছু সময়ের জন্য শহরময় বইতে থাকে হালকা গরম হাওয়া । তখন পেশাওয়রের সব বাড়ির জানলা দরজা বন্ধ হয়ে যায়, দোকানগুলো সামনের ঝাঁপটা ফেলে রাখে আর ছাতের ওপরে ক্ষারে কেচে শুকোতে […]
-
পেশাদারিত্ব
মিলন আমার বন্ধু। পেশায় সাংবাদিক। আমরা এক শহরেই থাকি। আমাদের দুজনের মধ্যে শুধু চারটে রেললাইনের তফাৎ। এ যেন অনেকটা পুব দিকে তুমি আর পশ্চিমে আমি। মাঝখানে রেলগাড়ি ছুটে চলে যায় । আমার চেয়ে মিলন দু-তিন বছরের বড় হলেও , আমি তাকে নাম ধরেই ডাকি। আবার আমি যাদের দাদা বলে ডাকি ও তাদের নাম ধরেই ডাকে […]
-
ইচ্ছে হয়ে ছিলি
মানুষের জীবনে অবসর কি কাঙ্ক্ষিত? যখন মানুষ কাজের মধ্যে থাকে, উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সংসার প্রতিপালন করে, সন্তানদের মানুষ করে তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে তখন কখনো কখনো মনে হয় বটে, ‘কবে যে অবসর পাবো’! তারপর একদিন গুটি গুটি এসে যায় অবসরের দিন। মনে হয়, “আঃ বাঁচা গেল, এবার একটু আরাম করব”। সত্যিই আরাম করার দিন এখন […]
-
খেলা হবে
লেখাটা পড়েছেন? বেরিয়ে গেছে লেখাটা কিন্তু।খুব নরম গলায় কানের কাছে মুখ নিয়ে কথাটা বললেন গল্পের আড্ডা অনলাইন পত্রিকার ছটফটে সম্পাদক তোর্সা দত্ত। না গো । আমি ওইসব মোবাইল ব্যাবহার জানি না গো- এই পঁচাশি বছর বয়সে ওসব আর শিখতেও চাই না। তুমি বললে এইটাই জানা হলো। তুমি বরং একটা কাগজে তোমাদের নম্বর , আর অন্যান্য […]
-
কুঁটিকাটা
বিবর্ণ ঘষা কাঁচের দেওয়াল পেরিয়ে যে’টুকু চোখে এসে পড়ে, সে’টুকুই দেখেন। জলের পর্দা চুঁইয়ে যে’টুকু কানের পর্দায় ধাক্কা দেয়, সে’টুকুই শোনেন। গন্ধগুলো ইদানীং যদিও কেমন বাউন্ডুলে, তবু মাংস রান্না হ’লে ঠিক বুঝতে পারেন। মাংসের স্বাদ আর আগের মত না থাকলেও পোস্ত ছড়ানো পুনকোশাক ভাজা, তারপর আলু-বড়ির পোস্ত, আর তারপর পাতে একটু মাংস পড়লে চোখ চকচক […]
-
মায়ের মাদুলি ও নবজীবনের শেকল
প্রচন্ড স্রোতে নদীতীর ভেঙ্গে কপালকুন্ডলা ডুবে গেলেন।নবকুমার নদীর জলে লাফ দিলেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে নবকুমার, কপালকুন্ডলাকে পেলেন না। স্রোতের তোড়ে দুটি দেহ দুদিকে ভেসে গেলো। তারপর নবকুমার কাটোয়া ঘাটে একটা বাঁশের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পরে রইলো।আর কপাল কুন্ডলা কুন্তিঘাটে নদীতীরে পাথরের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইলো। কাটোয়া ঘাটে মনা বায়েন স্নান করতে এসে দেখলো, […]
-
কোনও শিল্পই নতুনত্ব ছাড়া বাঁচে নাঃ মালবিকা মিত্র
[কোনও শিল্পই প্রয়োগ ছাড়া বাঁচে না,নতুনত্ব ছাড়া বাঁচে না – এমনটাই মনে করেন কথক নৃত্যে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ডা.মালবিকা মিত্র। তাঁর মতে ‘কথক’ হল নৃত্যের এমন একটা ফর্ম যার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। আর কথক শিক্ষা? সেজন্য কোনও শর্টকার্ট পদ্ধতি নেই বলে মনে করেন তিনি।এজন্য চাই পরিশ্রম এবং রেওয়াজ, যার মাধ্যমে […]
-
বাংলা নববর্ষের আয়োজন,অণু গল্প সংখ্যা
স্বাগত ১৪২৯। অনুভবী পাঠক, মরমী মনস্বী লেখক আর যাঁরা আমাদের সকল সময়ের ভাবনাসঙ্গী, আজ চোদ্দোশো উনত্রিশে ‘গল্পের সময়’-এর পক্ষ থেকে সকলকে ভালবাসা অভিনন্দন। ‘গল্পের সময়’ গল্প ও সাহিত্য বিষয়ক লেখালিখির একটি প্ল্যাটফর্ম। তাতে ভবিষ্যতে লেখা পাঠানোর আমন্ত্রণ রইল।‘গল্পের সময়’এর কথা প্রিয়জন,বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনের কাছে পৌঁছে দিলে ভাল লাগবে। ।। গল্পের সময়।। গোটা বিশ্বের বাঙালির গল্পের […]
-
নিভৃত সংলাপ
অতসীপিসী আমার দূরসম্পর্কের পিসীমা ছিলেন। তাঁর ছোটভাইয়ের সংসারে তিনি প্রায় গোটা জীবনটাই কাটিয়েছিলেন । তাঁকে কোনোরকম অশ্রদ্ধা বা অসন্মান করার ক্ষমতা কারো ছিলনা। এই উচ্চাসন তিনি নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছিলেন। প্রখর ব্যক্তিত্বময়ী মৃদুভাষী এই মানুষটি আমার মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন ।আমার মায়ের থেকে বয়সে অনেকটা বড়ো হলেও নিজের মনের সব কথা বলতেন। নব্বই বছর পেরিয়ে যখন […]
-
পরশুরাম ও অন্য গল্প
পরশুরাম সন্ধে থেকে ক্রমাগত গুঁড়ো গুঁড়ো বরফের বৃষ্টিতে চারিদিক সাদা হয়ে এসেছে । এখন বোধহয় রাত দশটা হবে। ডিসেম্বরের শীতের রাত, ঘোলাটে আলোয় আলোকিত রাস্তা নিঝুম । কিছুক্ষণ আগেই পলাশ ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছে। এমন নয় যে হঠাৎ উত্তেজনার বশে এমন কাজটা ও করে ফেললো । বরং উলটোটাই সত্যি। মাসের পর মাস পরম প্রিয়জনের রোগশয্যার পাশে […]
-
বিনোদন
সবে স্কুলের গণ্ডী পেরিয়েছি । সত্তর দশকের প্রথম ভাগ । বঙ্গে তখনও দূরদর্শনের পদার্পণ ঘটেনি । রেডিও ছিল অনেক বাড়িতে । সাত পড়ুয়ার পাঠে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় রাহা বাড়িতে রেডিও স্থান পায়নি । সেই একান্নবর্তী বাড়ির দুই ক্ষুদেকে প্রাইভেট পড়াবার দায়িত্ব পেলাম আমি। ছাত্রদের পরিবারে ছিল তিন ভাই আর বাল্যবিধবা তাদের বড়দি। সঙ্গে তো ছিলই […]
-
মাঝরাতে রাজপথে
বলাকা বলেছিল “বন্ধুর বিয়ে, অনেকটা দূর। পৌঁছে দেবে? ফেরার সময় আসতে হবে না, বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসব।“ সুমন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছু বলেনি। কারণ বলাকা জানত এর উত্তর ‘না’ হয় না। রিকশা থেকে নেমে বলাকা উজ্জ্বল পোশাকে আলোকিত তোরণ দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। একটু গিয়ে পিছন ফিরে দেখলো, সুমন তখনও দাঁড়িয়ে, টিমটিমে ল্যাম্প পোস্টের আলোয়, […]
-
বাসে আলাপ
ট্রেনে নয় লাক্সারি বাসে চলেছি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে। সাথী ত্রিরিশ জন। কপালগুণে বাসের পেছনে পড়েছিল আমার সিট। আমার দুটো সিট আগে বসেছিল বছর কুড়ির এক তরুণী তার বাবার সঙ্গে। চা-জলখাবারের জন্যে মাঝে একবার বিরতি দেওয়ায় অন্যান্ন সহযাত্রী সহ ওই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ হয়। মেয়েটি সবেমাত্র কম্পুউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে টিসিএসে যুক্ত হয়েছে। কথাবার্তায় […]
-
বাই ডিফল্ট
– ইন্টারভিউ তো দিলেন। এবার বলুন কেমন লাগল আমার মতন বাচ্চা আনকোরা একটা মেয়ের প্রশ্ন? – দারুণ! ও না না, এখন তো এসব বাংলা বললে চলবে না। কি যেন চলছে শব্দটা! ও হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে অ-সাম! ঠিক বললাম তো? – একদম। আপনি এই বয়েসেও এত আপ টু ডেট থাকেন কি করে? আপনার ঐতিহাসিক উপন্যাস […]
-
হুঁ:! ন্যাকামি!
রাত আড়াইটে। ঘরে এসে বিল্টু খবর দিল, “ঠাম্মি, এইবার শিগগির চলো! লাইট নিভে গেছে।” শুনে সবাই হৈ হৈ করে উঠল। “চলো, চলো…এখনই চলো।” বিল্টুর ঠাম্মি, অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা দেবী হাত তুলে শান্তভাবে চোখ, মুখ নাচিয়ে বললেন, “দাঁড়া বাছা! এখনই কী?! এখনও সময় হয় নি। আরও কিছুক্ষণ যাক। রস জমুক।” তারপর বিল্টুকে তাড়া দিয়ে বললেন,”তুই শুতে যা […]
-
আগুনওয়ালাদের চোখ কান
দুপুর গড়িয়ে গেলে বিষ্টুদের পুকুরঘাটে বাসন মাজতে বসে বহ্নি। আর এইসময় নিজের কথাকে কারুকাজ করে নিতে আসে কবি কৌরব। বহ্নির কারুকাজ বলতে লেখাগুলোকে বাইরের লোকের কাছে বরাত পাইয়ে দেওয়া। বাইরের মানুষের সাথে বহ্নির অনেক যোগাযোগ। আজ ওর এঁটো পাতিলের ওপর টুপ করে কী যেন একটা পড়ল। -“দলা পাকিয়ে কী ফেলছ দেখি?” দেখল তারই দেওয়া সাদা […]
-
এমনিই
|| ১ || সাবওয়ে দিয়ে চিরকালের অভ্যাসের মতো দুটো করে সিঁড়ি টপকে টপকে প্লাটফর্মে উঠে একটা ফাঁকা জায়গা পেয়ে বসে হাঁফাতে লাগলো শুভ | রবিবার সকালে ঘুমটা যেন ভাঙতেই চায় না | অগত্যা এই তাড়াহুড়ো ! নাহ্ ! লেট হয় নি | সাড়ে দশটার গ্যালোপিং বর্ধমানটা পেয়ে যাবো | – ভাবতে ভাবতে চশমাটা খুলে নিয়ে […]
-
সিঁদুরে মেঘ
জীবনে চলার পথে আর পাঁচজনের মতো প্রতিভারও জীবন থেকে অনেক মুখ হারিয়ে গেছে বা কুয়াশাবৃত হয়েছে।তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার হৃদয়ের টুকরোও বটে। কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়তেই যেমন তুমুলভাবে নাড়িয়ে দিল প্রতিভাকে, তার সন্তানের পিতা রণজয়কে ছিনিয়ে নিয়ে।পঁয়ত্রিশের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে একমাত্র সন্তান এলিজাকে নিয়ে তার জীবন এক অজানা প্রবাহের মাঝখানে, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটু […]
-
বড়পিসির চিঠি এবং
সালটা ৭১ কি ৭২। গোটা দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ডামাডোল। কালোবাজারির দাপটে নাভিশ্বাস। এরকম একটা সময়ে মফস্বলের এক বাড়িতে চিঠিটা এলো। বাইরের ঘর, মাঝের ঘর, ভাঁড়ার ঘর, ঠাকুর ঘর পেরিয়ে উঠোন লাগোয়া নতুন ঘরে আমার ছোটকা মানে এ বাড়ির ছোট ছেলে, সেটা এনে দিলো ঠাকুমাকে। ঠাকুমা চিঠিতে চোখ বুলিয়েই শুরু করলেন হাঁউমাঁউ। সেই চিৎকারে রান্নাঘর থেকে […]
-
সেইসব বই… সেইসব দিন… আর সেই সোভিয়েত…
আজ পিছন ফিরে সেসব দিনের কথা মনে করলে, মনে হয় সে যেন এ জন্মের কথা নয়, সে যেন এ পৃথিবীর বাস্তব নয়। অন্য এক জগ, অন্য এক জন্মের কাহিনি। অথচ বেশি দিন আগের কথা তো নয়। গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষ, নব্বইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত সে সব স্বর্ণখনি আসত আমাদের হাতে। বলা বাহুল্য অতি সুলভ মূল্যে। […]
-
সত্যজিৎ- এর গল্প – মননে সান্দ্র বেদনার্ত
জীবনের সব স্বাদ যদি নাও পাওয়া যায় বিচিত্র কয়েকটির অভিজ্ঞতা হয় তাও জীবন সার্থক। অপরিসীম এই গ্রহটির প্রাণবৈচিত্র্য। যখন গল্প লিখছেন মুগ্ধ বিস্মিত সত্যজিৎ মনে হয় কৌতুকপ্রবণ পৃথিবীর রসলীলার ভাণ্ডারটি ছেলেমানুষদের সামনে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর । দেখা যায় বা দেখা যায় না এই তর্ক বহুদূর তাঁর গল্পের বেড়াজাল থেকে, শুধু হেঁটেই যাওয়া তার জন্য, যাকে […]
-
শিখুন ‘কথক’ / হয়ে উঠুন নৃত্যের কথাকার
‘কথক’ শিক্ষার দু দশক শিখুন ‘কথক’ / হয়ে উঠুন নৃত্যের কথাকার কথক কেন্দ্র / শ্রীরামপুর নৃত্যকাঞ্চন ক্লাস – প্রতি শনি/রবি যোগাযোগ – 9874011519 তবলা,সেতার,গানে নিয়মিত তালিম
-
অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’
আমরা অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিকের কথা জানি যাঁরা আবির্ভাবেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এবং তাদের প্রথম রচনাকেই লেখকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে গণ্য করাহয়। সৈয়দ ওয়ালীঊল্লাহ (১৯২২–১৯৭১) র অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’ তেমনই একটি সৃষ্টি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ চট্টগ্রামে এক শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।১৯৪৩ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পাঠরত অবস্থায় […]
-
‘বোজ’-এর বিলেতি যাদুকথা
যদিও সেটি তাঁর প্রথম বই, কিন্তু আমি পড়লাম অনেকটাই দেরীতে। মাত্রই বছর পাঁচেক আগে। এক হেমন্তসন্ধ্যায় একজন চেনা মানুষ বইটির বিষয়ে বললেন আমাকে। এই বইটির কথা, সত্যি বলতে কি, বহু দিন পর্যন্ত জানাই ছিল না আমার! সে একান্তই এবং অবশ্যই আমার অজ্ঞতা। ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্র হলে হয়ত ছাত্রাবস্থাতেই জেনে যেতাম। পাকেচক্রে তেমনটা না হওয়ায় পদ্ধতিগত […]
-
নানা পাঠ,নানা রঙের বই
বাবলি… শেষ কৈশোরের মুখচোরা লাজুক অভিমানী রঙ কেমন? পড়ন্তবেলার অরণ্যে যখন অস্তমিত সূর্যের ছায়াকে ম্লান করে জ্যোৎস্না ফুটে ওঠে সেই রঙ ধরতে পারা বড় কঠিন। গনগনে দুপুরের আঁচে যখন বইতে থাকে আগুন বাতাস আর কুবোপাখির ডাকে যে ছটফটানি ডুবতে ডুবতেও ভেসে ওঠে – সেই ছবি আঁকতে পারাও কি কম কঠিন কোনও চিত্রকরের কাছে? কিন্তু এই […]
-
আক্কা মহাদেবীর আলো
সুহৃদেষু, অনেকদিন পর তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি। পুবের জানলা দিয়ে রোদ এসে পড়ছে মেঝেতে। শ্বেতকরবীর গুচ্ছ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে তাদের ফুলেল মঞ্জরি। ভোরের আলোয় কী এক অরূপ শুদ্ধতা থাকে, না! মন আপনিই কেমন উদার হতে চায়। কদিন হল বই পড়ছি একটা। দ্বাদশ শতকের কর্ণাটকের লোকায়ত ভাষায় বীরশৈব সাধক কবিরা যে সব ‘বচন’ রচনা করেছিলেন তাদের […]