পুরানো সংখ্যা:

  1. একটি শরৎকালের রাত

    শরৎকালের একরাতে আমাকে একবার এক অস্বস্তিকর কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শহরের কাউকেই আমি চিনি না, আর পকেটে একটা পয়সাও ছিলো না  যে কোনো হোটেলে গিয়ে উঠব। ঘড়ি, আংটি,  কলম যা ছিল সব একে একে  বেচে দিলাম , যাতে কথা দিন অন্তত চলে। তারপর একেবারে কপর্দক শূন্য অবস্থায় “ইয়েস্তে” নামক বন্দরে গিয়ে হাজির হলাম। সিজনে জায়গাটা […]

  2. দিল্লিতে একটি মৃত্যু

    চারপাশে কুয়াশা। এখন সকাল ন’টা তবু সমস্ত দিল্লি ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত । রাস্তাঘাট,  গাছপালা  সব ভেজা। কিছুই ঠিকমতো চোখে পড়ে না । নানা ধরনের শব্দই এখন জীবনের স্পন্দনের  প্রমাণ দিচ্ছে।  বিল্ডিং এর চারপাশ থেকে প্রতিদিনের মতো আওয়াজ আসছে । বাসওয়ানির চাকরটা  রোজকার মত স্টোভ ধরিয়েছে – দেওয়ালের ওপাশ থেকে তারই সাড়া শব্দ পাচ্ছি । পাশের […]

  3. গ্রামের ধারে,দিঘির পাড়ে

    লম্বোদরপুর গ্রামের মুখেই সুকুমারবাবু আমাদের তিনজনের দলটাকে থামালেন।  আজ আমার সঙ্গী সহকর্মী রথীন চক্রবর্তী আর মানিক সরকার। সুকুমারবাবুও আমাদের সহকর্মী। লম্বোদরপুরেই থাকেন। উনিশশো তিয়াত্তর সালে বালক বয়সে একবারই ভাণ্ডীরবন গিয়েছি এ কথা শোনার পর প্রায় জোর করে এই রবিবারের সকালে আমাদের টেনে এনেছেন। ভাণ্ডীরবন সিউড়ি শহরের খুব কাছেই। কাল রাতে সিউড়িতেই ছিলাম। সকাল সকাল রথীনবাবুরা […]

  4. ব্রতকথা,গল্পদাদু ও তেচোখা মাছের গল্প

    সুনীল বড় হয়েছে বন জঙ্গলের আদর পেয়ে । ছোটো থেকেই মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থেকেছে। বাবা থাকলেও তার সঙ্গে ভাব ছিলো না সুনীলের। তাকে এড়িয়ে চলতো সুনীল।তার কারণ বাবা খুন রাগী লোক। সবসময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। মাকে গালগালি দেয়। মনের মধ্যে সুনীলের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নেই শৈশব থেকেই। সে তার মায়ের কাছে থাকে। পাড়ার […]

  5. নীল খাতা

    সেবার ভাদ্রমাসে জেঠিমা শৈলবালা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বাড়ির সক্কলের তিনি বড়-মা। তাঁকে দেখাশোনা করেন আমাদেরই এক জ্ঞাতি পিসি বিনু। সেবার বিনু পিসিও গেলেন তাঁর সতীন-পোর ছেলের মুখে ভাতে। বাড়িতে সেরকম দেখভাল করার লোক নেই। বড়মা শৈলবালা মানুষটা আবার তেমন সুবিধের নয় বলে কাজের মেয়ে হরিদাসী কাছে ঘেঁষে না। পান থেকে চুনটি খসার জো নেই। […]

  6. আসছে ‘শারদ অধ্যায়’২০২২

    বাঙালি গল্প শুনতে ভালোবাসে, বাঙালি গল্প শোনাতেও ভালোবাসে। তিন বাঙালি এক জায়গায় হয়েছে আর সব কাজকর্ম শিকেয় তুলে ঘণ্টা খানেক জমিয়ে গল্প-গুজব করে নি এমন ঘটনা একসময় ছিল দুর্লভ ব্যাপার। মজলিসে বসে জামার পকেট বা আস্তিন একটু ঝাড়াঝাড়ি করলে দু-একটি কাহিনী বা কিস্সা টুক করে ঝরে পড়তই। আড্ডাবাজ বাঙালির সেই কৌলিন্যে আজ ভাঁটার টান। আন্তর্জাতিক […]

  7. গল্প হলো কি না

         হাত জোড় করা মানুষ। ওরা,অরা। কারো কাছে ‘এই আমরা”।কথায় কথায় মুখখানি ভীষণ- গলার সামনে হাত জড়ো মুদ্রা।মুখ ভীষণ হবার অন্য কারণ-কম্পিউটারে একইরকম মূর্তি সার বেঁধে চলছে। লোকের দরজায় কড়া নাড়ছে। আকাশ এখন সিসি টিভি। লোককে কিছু বা বলছে। কৌতুক করছে! না উপহাস। ওদের মধ্যে আমি ছিলাম। ক্ষমা চেয়েছিলাম হয়তো চেনা মানুষের কাছে। অচেনা […]

  8. বৈকালী

    প্রতি বছর নভেম্বর মাসে পেনশনভোগীদের একটা অসম্মানজনক প্রথার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ।  ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হয় ।  বয়স্ক পেনশনাররা, কেউ কেউ রীতিমত বৃদ্ধ, অসুস্থ বা অথর্ব, ব্যাংকে এসে লাইন দিয়ে ডেস্ক ক্লার্ককে মুখ দেখিয়ে যান ।  ব্যাপারটা সকলেরই খারাপ লাগে, কিন্তু সকলেই বোঝে, এটা একটা আনএ্যাভয়েডেবল ন্যুইসেন্স ।  আজকাল অবশ্য […]

  9. আলেকজান্দার আর একটি কাক

    সামান্য মানুষের মতো জ্বরে কাবু হয়ে পড়লে সম্রাট আলেকজান্দারের মহত্ব রইল কোথায়?  প্রশ্নটা নিয়ে বেশি চিন্তাভাবনার সাহস না  হওয়ায় শুয়ে শুয়েই তিনি অষ্টধাতুর ঘন্টা বাজান । মুহূর্তের মধ্যে এক গ্রিক সৈন্য এসে হাজির। বর্ম আর শিরস্ত্রাণে  আচ্ছাদিত সৈন্যেটির ডান হাতে তরোয়াল, বাঁ হাতে বল্লম। তিনবার কুর্নিশ করে সে আদেশের অপেক্ষায় থাকে। রুগ্ন আলেকজান্দার চোখ খুলে […]

  10. চলো যাই ভিন দেশে

    ১ উৎসবের দিন হলে বড়মা থালা সাজিয়ে খেতে দেন। বড় জেঠু আর বাবা একসঙ্গে খেতে বসেন। আজ সংক্রান্তি। আজ আমাদের নিরামিষ আহার। প্রায় সাতটা কাঁসার বাটি; বড় কাঁসার থালার পাশে সাজানো। বড়মা ধীর স্থির শান্ত স্বভাবের মানুষ। দেশ যে আজ উত্তপ্ত তার কোন ছাপ বড়মার মুখের কোথাও নেই। এই মাধবদীতে তিনি সবার বড়মা। সে কী […]

  11. আউল গোঁসাই এর সমাধি

    সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি। দ্বারিকবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে বিজুরি গ্রামের সামনে রাস্তায় দাঁড়াবেন। সাঁইথিয়া হয়ে পৌঁছতে এক ঘন্টার সামান্য বেশি সময় লাগে। কিন্তু আমি ঠিক করেছি পাকা সড়ক না ধরে সাংড়া আর হাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়ে সিউড়ি সাঁইথিয়া সড়কে উঠব। সপ্তাহখানেক আগে ঈশ্বরপুর-হাতোড়া রাস্তা মোরাম বোল্ডার দিয়ে […]

  12. রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যে পরিবেশ চেতনা

    ” মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণ ছিল তার আদানপ্রদান ; ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারাল; যে তার প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করলে ইঁটকাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য । আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে […]

  13. যে হাসি অগাধ করে তোলে

    শুধু কবিতার জন্য এ জীবনে কত কিছু হল! কত আলো, কত অন্ধকার৷ কত সম্মান, কত বঞ্চনা। শুধু কটা শুদ্ধ অক্ষর, যদিও নিতান্ত সব নিজ সুখ দুঃখের গালগল্প। বৃহৎ বোধের থেকে কত দূর তারা৷ আমার আজকাল লজ্জাই লাগে। এতো তো পাবার কথা ছিল না কোন। বেঁচে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্ত হয়ে উঠি তখন আশীর্বাদের ঝাঁপি খুলে […]

  14. দা-আ-স্তানগো

    ১ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ থেকেই সন্ধ্যের মুখে মুখে জালালাবাদের ওপর দিয়ে বয়ে আসা পানশিরের ঠাণ্ডা হাওয়ার ভূমিকাটা নিয়ে নেয় মরু অঞ্চলের শুকনো ধুলোর ঝড় । কিছু সময়ের জন্য শহরময় বইতে থাকে হালকা গরম হাওয়া । তখন পেশাওয়রের সব বাড়ির জানলা দরজা বন্ধ হয়ে যায়, দোকানগুলো সামনের ঝাঁপটা ফেলে রাখে আর ছাতের ওপরে ক্ষারে কেচে শুকোতে […]

  15. পেশাদারিত্ব

    মিলন আমার বন্ধু।  পেশায় সাংবাদিক।  আমরা এক শহরেই থাকি। আমাদের দুজনের মধ্যে শুধু চারটে রেললাইনের তফাৎ। এ যেন অনেকটা পুব দিকে তুমি আর পশ্চিমে আমি। মাঝখানে রেলগাড়ি ছুটে চলে যায় । আমার চেয়ে মিলন দু-তিন বছরের বড় হলেও , আমি তাকে নাম ধরেই ডাকি। আবার আমি যাদের দাদা বলে ডাকি ও তাদের নাম ধরেই ডাকে […]

  16. ইচ্ছে হয়ে ছিলি

    মানুষের জীবনে অবসর কি কাঙ্ক্ষিত? যখন মানুষ কাজের মধ্যে থাকে, উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সংসার প্রতিপালন করে, সন্তানদের মানুষ করে তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে তখন কখনো কখনো মনে হয় বটে, ‘কবে যে অবসর পাবো’! তারপর একদিন গুটি গুটি এসে যায় অবসরের দিন। মনে হয়, “আঃ বাঁচা গেল, এবার একটু আরাম করব”। সত্যিই আরাম করার দিন এখন […]

  17. খেলা হবে

    লেখাটা পড়েছেন? বেরিয়ে গেছে লেখাটা কিন্তু।খুব নরম গলায়  কানের কাছে মুখ নিয়ে কথাটা  বললেন  গল্পের আড্ডা অনলাইন পত্রিকার ছটফটে  সম্পাদক তোর্সা দত্ত। না গো । আমি ওইসব মোবাইল ব্যাবহার জানি না গো- এই পঁচাশি বছর বয়সে ওসব আর শিখতেও চাই না। তুমি বললে এইটাই জানা হলো। তুমি বরং একটা কাগজে তোমাদের নম্বর , আর অন্যান্য […]

  18. কুঁটিকাটা

    বিবর্ণ ঘষা কাঁচের দেওয়াল পেরিয়ে যে’টুকু চোখে এসে পড়ে, সে’টুকুই দেখেন। জলের পর্দা চুঁইয়ে যে’টুকু কানের পর্দায় ধাক্কা দেয়, সে’টুকুই শোনেন। গন্ধগুলো ইদানীং যদিও কেমন বাউন্ডুলে, তবু মাংস রান্না হ’লে ঠিক বুঝতে পারেন। মাংসের স্বাদ আর আগের মত না থাকলেও পোস্ত ছড়ানো পুনকোশাক ভাজা, তারপর  আলু-বড়ির পোস্ত, আর  তারপর পাতে একটু মাংস পড়লে চোখ চকচক […]

  19. মায়ের মাদুলি ও নবজীবনের শেকল

    প্রচন্ড স্রোতে নদীতীর ভেঙ্গে কপালকুন্ডলা ডুবে গেলেন।নবকুমার নদীর জলে লাফ দিলেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করে নবকুমার, কপালকুন্ডলাকে পেলেন না। স্রোতের তোড়ে দুটি দেহ দুদিকে ভেসে গেলো। তারপর নবকুমার কাটোয়া ঘাটে একটা বাঁশের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পরে রইলো।আর কপাল কুন্ডলা কুন্তিঘাটে নদীতীরে পাথরের ধাক্কায় অচৈতন্য হয়ে পড়ে রইলো। কাটোয়া ঘাটে মনা বায়েন স্নান করতে এসে দেখলো, […]

  20. ডা.মালবিকা মিত্রের সঙ্গে আলাপে প্রতিভা দাস
    কোনও শিল্পই নতুনত্ব ছাড়া বাঁচে নাঃ মালবিকা মিত্র

    [কোনও শিল্পই প্রয়োগ ছাড়া বাঁচে না,নতুনত্ব ছাড়া বাঁচে না – এমনটাই মনে করেন  কথক নৃত্যে সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত শিল্পী ডা.মালবিকা মিত্র। তাঁর মতে ‘কথক’ হল নৃত্যের এমন একটা ফর্ম যার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব। আর কথক শিক্ষা? সেজন্য কোনও শর্টকার্ট পদ্ধতি নেই বলে মনে করেন তিনি।এজন্য চাই পরিশ্রম এবং রেওয়াজ, যার মাধ্যমে […]

  21. গল্পের সময় অণুগল্প সংখ্যা
    বাংলা নববর্ষের আয়োজন,অণু গল্প সংখ্যা

    স্বাগত ১৪২৯। অনুভবী পাঠক, মরমী মনস্বী লেখক আর যাঁরা আমাদের সকল সময়ের ভাবনাসঙ্গী, আজ চোদ্দোশো উনত্রিশে ‘গল্পের সময়’-এর পক্ষ থেকে সকলকে ভালবাসা অভিনন্দন। ‘গল্পের সময়’ গল্প ও সাহিত্য বিষয়ক লেখালিখির একটি প্ল্যাটফর্ম। তাতে ভবিষ্যতে লেখা পাঠানোর আমন্ত্রণ রইল।‘গল্পের সময়’এর কথা প্রিয়জন,বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনের কাছে পৌঁছে দিলে ভাল লাগবে। ।। গল্পের সময়।। গোটা বিশ্বের বাঙালির গল্পের […]

  22. নিভৃত সংলাপ

    অতসীপিসী আমার দূরসম্পর্কের পিসীমা ছিলেন।  তাঁর ছোটভাইয়ের সংসারে তিনি প্রায় গোটা জীবনটাই কাটিয়েছিলেন । তাঁকে কোনোরকম অশ্রদ্ধা বা অসন্মান করার ক্ষমতা কারো ছিলনা। এই উচ্চাসন তিনি নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছিলেন। প্রখর ব্যক্তিত্বময়ী মৃদুভাষী এই মানুষটি আমার মাকে ভীষণ ভালোবাসতেন ।আমার মায়ের থেকে বয়সে অনেকটা বড়ো হলেও নিজের মনের সব কথা বলতেন। নব্বই বছর পেরিয়ে যখন […]

  23. পরশুরাম ও অন্য গল্প

    পরশুরাম সন্ধে থেকে ক্রমাগত গুঁড়ো গুঁড়ো বরফের বৃষ্টিতে চারিদিক সাদা হয়ে এসেছে । এখন বোধহয় রাত দশটা হবে। ডিসেম্বরের শীতের রাত, ঘোলাটে আলোয় আলোকিত রাস্তা নিঝুম । কিছুক্ষণ আগেই পলাশ ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলেছে। এমন নয় যে হঠাৎ উত্তেজনার বশে এমন কাজটা ও করে ফেললো । বরং উলটোটাই সত্যি। মাসের পর মাস পরম প্রিয়জনের রোগশয্যার পাশে […]

  24. বিনোদন

    সবে স্কুলের গণ্ডী পেরিয়েছি । সত্তর দশকের প্রথম ভাগ । বঙ্গে তখনও দূরদর্শনের পদার্পণ ঘটেনি । রেডিও ছিল অনেক বাড়িতে । সাত পড়ুয়ার পাঠে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কায় রাহা বাড়িতে রেডিও স্থান পায়নি । সেই একান্নবর্তী বাড়ির দুই ক্ষুদেকে প্রাইভেট পড়াবার দায়িত্ব পেলাম আমি। ছাত্রদের পরিবারে ছিল তিন ভাই আর বাল্যবিধবা তাদের বড়দি। সঙ্গে তো ছিলই […]

  25. মাঝরাতে রাজপথে

    বলাকা বলেছিল “বন্ধুর বিয়ে, অনেকটা দূর। পৌঁছে দেবে? ফেরার সময় আসতে হবে না, বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসব।“  সুমন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছু বলেনি। কারণ বলাকা  জানত এর উত্তর ‘না’ হয় না। রিকশা থেকে নেমে বলাকা উজ্জ্বল পোশাকে আলোকিত তোরণ দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। একটু গিয়ে পিছন ফিরে দেখলো, সুমন তখনও দাঁড়িয়ে, টিমটিমে ল্যাম্প পোস্টের আলোয়, […]

  26. বাসে আলাপ

    ট্রেনে নয় লাক্সারি বাসে চলেছি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের দিকে।  সাথী ত্রিরিশ জন। কপালগুণে বাসের পেছনে পড়েছিল আমার সিট। আমার দুটো সিট আগে বসেছিল বছর কুড়ির এক তরুণী তার বাবার সঙ্গে। চা-জলখাবারের জন্যে মাঝে একবার বিরতি দেওয়ায় অন্যান্ন সহযাত্রী সহ ওই মেয়েটির সঙ্গে আলাপ হয়। মেয়েটি সবেমাত্র কম্পুউটার সায়েন্স নিয়ে পাশ করে টিসিএসে যুক্ত হয়েছে। কথাবার্তায় […]

  27. বাই ডিফল্ট

    – ইন্টারভিউ তো দিলেন। এবার বলুন কেমন লাগল আমার মতন বাচ্চা আনকোরা একটা মেয়ের প্রশ্ন? – দারুণ! ও না না, এখন তো এসব বাংলা বললে চলবে না। কি যেন চলছে শব্দটা! ও হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়েছে অ-সাম! ঠিক বললাম তো? – একদম। আপনি এই বয়েসেও এত আপ টু ডেট থাকেন কি করে? আপনার ঐতিহাসিক উপন্যাস […]

  28. হুঁ:! ন্যাকামি!

    রাত আড়াইটে। ঘরে এসে বিল্টু খবর দিল, “ঠাম্মি, এইবার শিগগির চলো! লাইট নিভে গেছে।” শুনে সবাই হৈ হৈ করে উঠল। “চলো, চলো…এখনই চলো।” বিল্টুর ঠাম্মি, অর্থাৎ ঐন্দ্রিলা দেবী হাত তুলে শান্তভাবে চোখ, মুখ নাচিয়ে বললেন, “দাঁড়া বাছা! এখনই কী?! এখনও সময় হয় নি। আরও কিছুক্ষণ যাক। রস জমুক।” তারপর বিল্টুকে তাড়া দিয়ে বললেন,”তুই শুতে যা […]

  29. আগুনওয়ালাদের চোখ কান

    দুপুর গড়িয়ে গেলে বিষ্টুদের পুকুরঘাটে বাসন মাজতে বসে বহ্নি। আর এইসময় নিজের কথাকে কারুকাজ করে নিতে আসে কবি কৌরব। বহ্নির কারুকাজ বলতে লেখাগুলোকে বাইরের লোকের কাছে বরাত পাইয়ে দেওয়া। বাইরের মানুষের সাথে বহ্নির অনেক যোগাযোগ। আজ ওর এঁটো পাতিলের ওপর টুপ করে কী যেন একটা পড়ল। -“দলা পাকিয়ে কী ফেলছ দেখি?” দেখল তারই দেওয়া সাদা […]

  30. এমনিই

    ||  ১  || সাবওয়ে  দিয়ে  চিরকালের  অভ্যাসের  মতো  দুটো  করে  সিঁড়ি  টপকে  টপকে  প্লাটফর্মে  উঠে  একটা  ফাঁকা  জায়গা  পেয়ে  বসে  হাঁফাতে  লাগলো  শুভ  |  রবিবার  সকালে  ঘুমটা  যেন  ভাঙতেই  চায়  না  |  অগত্যা  এই  তাড়াহুড়ো  ! নাহ্ !  লেট  হয়  নি    |  সাড়ে  দশটার  গ্যালোপিং  বর্ধমানটা  পেয়ে  যাবো  |  –  ভাবতে  ভাবতে  চশমাটা  খুলে  নিয়ে  […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ