পুরানো সংখ্যা:

  1. সিঁদুরে মেঘ

    জীবনে চলার পথে আর পাঁচজনের মতো প্রতিভারও জীবন থেকে অনেক মুখ হারিয়ে গেছে বা কুয়াশাবৃত হয়েছে।তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার হৃদয়ের টুকরোও বটে। কোভিডের ঢেউ আছড়ে পড়তেই যেমন তুমুলভাবে নাড়িয়ে দিল প্রতিভাকে, তার সন্তানের পিতা রণজয়কে ছিনিয়ে নিয়ে।পঁয়ত্রিশের চৌকাঠে দাঁড়িয়ে একমাত্র সন্তান এলিজাকে নিয়ে তার জীবন এক অজানা প্রবাহের মাঝখানে, উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কাটিয়ে একটু […]

  2. বড়পিসির চিঠি এবং

    সালটা ৭১ কি ৭২। গোটা দেশে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ডামাডোল। কালোবাজারির দাপটে নাভিশ্বাস। এরকম একটা সময়ে  মফস্বলের এক বাড়িতে চিঠিটা এলো। বাইরের ঘর, মাঝের ঘর, ভাঁড়ার ঘর, ঠাকুর ঘর পেরিয়ে উঠোন লাগোয়া নতুন ঘরে  আমার  ছোটকা  মানে এ বাড়ির ছোট ছেলে, সেটা  এনে দিলো ঠাকুমাকে। ঠাকুমা চিঠিতে চোখ বুলিয়েই শুরু করলেন হাঁউমাঁউ। সেই চিৎকারে রান্নাঘর থেকে […]

  3. সেইসব বই… সেইসব দিন… আর সেই সোভিয়েত…

    আজ পিছন ফিরে সেসব দিনের কথা মনে করলে, মনে হয় সে যেন এ জন্মের কথা নয়, সে যেন এ পৃথিবীর বাস্তব নয়। অন্য এক জগ, অন্য এক জন্মের কাহিনি। অথচ বেশি দিন আগের কথা তো নয়। গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষ, নব্বইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত সে সব স্বর্ণখনি আসত আমাদের হাতে। বলা বাহুল্য অতি সুলভ মূল্যে। […]

  4. সত্যজিৎ- এর গল্প – মননে সান্দ্র বেদনার্ত

    জীবনের সব স্বাদ যদি নাও পাওয়া যায় বিচিত্র কয়েকটির অভিজ্ঞতা হয় তাও জীবন সার্থক। অপরিসীম এই গ্রহটির প্রাণবৈচিত্র্য। যখন গল্প লিখছেন মুগ্ধ বিস্মিত সত্যজিৎ মনে হয় কৌতুকপ্রবণ পৃথিবীর রসলীলার  ভাণ্ডারটি ছেলেমানুষদের সামনে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর । দেখা যায় বা দেখা যায় না এই তর্ক বহুদূর তাঁর গল্পের বেড়াজাল থেকে, শুধু হেঁটেই যাওয়া তার জন্য, যাকে […]

  5. শিখুন ‘কথক’ / হয়ে উঠুন নৃত্যের কথাকার

    ‘কথক’ শিক্ষার দু দশক  শিখুন ‘কথক’ / হয়ে উঠুন নৃত্যের কথাকার কথক কেন্দ্র / শ্রীরামপুর নৃত্যকাঞ্চন ক্লাস – প্রতি শনি/রবি যোগাযোগ – 9874011519 তবলা,সেতার,গানে নিয়মিত তালিম

  6. অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’

     আমরা অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিকের কথা জানি যাঁরা আবির্ভাবেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এবং তাদের প্রথম রচনাকেই লেখকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে গণ্য করাহয়। সৈয়দ ওয়ালীঊল্লাহ (১৯২২–১৯৭১) র অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’ তেমনই একটি সৃষ্টি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ চট্টগ্রামে এক শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।১৯৪৩ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পাঠরত অবস্থায় […]

  7. ‘বোজ’-এর বিলেতি যাদুকথা

    যদিও সেটি তাঁর প্রথম বই, কিন্তু আমি পড়লাম অনেকটাই দেরীতে। মাত্রই বছর পাঁচেক আগে। এক হেমন্তসন্ধ্যায় একজন চেনা মানুষ বইটির বিষয়ে বললেন আমাকে। এই বইটির কথা, সত্যি বলতে কি, বহু দিন পর্যন্ত জানাই ছিল না আমার! সে একান্তই এবং অবশ্যই আমার অজ্ঞতা। ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্র হলে হয়ত ছাত্রাবস্থাতেই জেনে যেতাম। পাকেচক্রে তেমনটা না হওয়ায় পদ্ধতিগত […]

  8. নানা পাঠ,নানা রঙের বই

    বাবলি… শেষ কৈশোরের মুখচোরা লাজুক অভিমানী রঙ কেমন? পড়ন্তবেলার অরণ্যে যখন অস্তমিত সূর্যের ছায়াকে ম্লান করে জ্যোৎস্না ফুটে ওঠে সেই রঙ ধরতে পারা বড় কঠিন। গনগনে দুপুরের আঁচে যখন বইতে থাকে আগুন বাতাস আর কুবোপাখির ডাকে যে ছটফটানি ডুবতে ডুবতেও ভেসে ওঠে – সেই ছবি আঁকতে পারাও কি কম কঠিন কোনও চিত্রকরের কাছে? কিন্তু এই […]

  9. আক্কা মহাদেবীর আলো

    সুহৃদেষু, অনেকদিন পর তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি। পুবের জানলা দিয়ে রোদ এসে পড়ছে মেঝেতে। শ্বেতকরবীর গুচ্ছ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে তাদের ফুলেল মঞ্জরি। ভোরের আলোয় কী এক অরূপ শুদ্ধতা থাকে, না! মন আপনিই কেমন উদার হতে চায়। কদিন হল বই পড়ছি একটা। দ্বাদশ শতকের কর্ণাটকের লোকায়ত ভাষায় বীরশৈব সাধক কবিরা যে সব ‘বচন’ রচনা করেছিলেন তাদের […]

  10. অনেক বিস্মৃত সময়ের হিজিবিজি ছবি আঁকতে জানে যে বইটা
    অনেক বিস্মৃত সময়ের হিজিবিজি ছবি আঁকতে জানে যে বইটা

    “নেত্য ধোপানি কাপড় কাচে মন পবনের ঘাটে এ বিষ পাইল কোথা সাঁতালি পর্বতে …” যে উপন্যাস বা বই এর ব্যাপারে অতি সামান্য কিছু বলব, সেটার প্রেক্ষাপট যে কোনো হদ্দ গ্রাম এটা আশা করি উপরের পংক্তির ডায়ালেক্ট দেখেই আন্দাজ করা গেছে। একটা কথা শুরুতে বলে রাখা ভালো, তাতে অনেকের আশাভঙ্গ হলেও হতে পারে, আবার কদাচিৎ কেউ […]

  11. পোর্ট্রেট

    এ শহরে তখন আমি আনকোরা নতুন। পরিচিত তেমন কেউই ছিলোনা। দুচারজন সদ্যঘনিষ্ঠ সহপাঠীদের ছাড়া চিনতাম স্টেশনের কাছে চায়ের দোকানের মালিক গঙ্গাদা, বটতলার নিতাই আর চালতাবাগানের বাচকুনদা। এছাড়াও আমার খুব ভালো লাগতো আরো একজনকে, তার নাম কেয়ামাসী যার সঙ্গে আমার আলাপটা হঠাৎ হয়ে গিয়েছিলো। একদিন রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় পেছনদিক থেকে জোরে আসা রিক্সার ধাক্কায় পড়ে […]

  12. জন পজারের বাংলো

    ১ ‘সরকারী জীপ-এ করেরাঁচি থেকে এসে প্রথমযেদিন একতলা বাংলোটা দেখতে এলাম তখনই খুব পছন্দ হয়ে গিয়েছিল,বুঝলে সুশীল । ব্রিটিশ আমলের আর্কিটেকচার,বড়ো বড়ো পাঁচ-ছটা ঘর,বাংলোর তিনপাশ ঘেরা উঁচুরেলিং দেওয়া বারান্দা,বিরাট কম্পাউনডের সঙ্গে একটা আউটহাউস, বাড়ীর পেছন দিকে গোটাকতক বড়ো বড়ো আম,জাম আরজলেবী গাছ, বাংলোর সামনে গাড়ীবারান্দা থেকে একটা লাল মোরামের রাস্তা গেট অবধি চলে এসেছে । […]

  13. ছায়া দীর্ঘতর

    শ্রীরামপুরে গঙ্গার ধারে মদের কারখানা । তবে সে এখন অতীত। অতি বৃদ্ধ সে । মুখ বন্ধ বসে আছে । নেশা তার দিকে আর কাউকেই টেনে আনে না । বোতলের টুংটাং পিয়ানো বাজেনা আর , কাউকে কিছু পিয়ানোর দায়ও নেই তার এখন। তার সামনেই সিমেন্ট বাঁধানো গোল বেঞ্চিটা এখন খুব জীর্ণ। জঞ্জালময়।   কত আগাছা ভিড় করে […]

  14. ইলেকশন ডিউটি

    মলয়বাবুর মাথায় যেন বজ্রাঘাত হল। সারাজীবন বিহারে কাটিয়ে একমাস হল কলকাতায় হেডঅফিসে বদলি হয়ে এসেছেন। এখনো অফিসের ঘাঁতঘোত বিশেষ বোঝেননি। অসুবিধায় পড়লে যে কাকে ধরতে হবে, অফিসের মধ্যে কেন্দ্রবিন্দুটি যে ঠিক কোথায়,  তার হদিস এখনও করে উঠতে পারেননি। ফলে তিনি চোখে অন্ধকার দেখলেন। মলয়বাবু চিরকালই শান্তিপ্রিয় লোক- ঝুটঝামেলায় তাঁর বড় ভয়। সেরকম সম্ভাবনা দেখা দিলেই […]

  15. অভিনেত্রীর খোঁজে

    উল্টোদিকের সোফায় বসে থাকা মেয়েটা এতক্ষণ মন দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছিল। পত্রিকাটা মুখের ওপর থেকে সরিয়ে নিতে এবার ওর পুরো মুখটা দেখতে পেল রাজীব। হাতের ম্যাগাজিনটা বেশ খানিকটা জোরেই নিচু টেবিলটায় রাখল মেয়েটা। মুখে বেশ বিরক্তিচিহ্ন। বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই বেলা এগারোটা থেকে অপেক্ষা করছে, আর এখন প্রায় চারটে বাজে। রাজীবেরও এবার বেশ অধৈর্য লাগছিল। […]

  16. ডিসেকশন হলের ভূতেরা

    নবীন বরণ উৎসব চলছে। নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ফ্রেসারস ওয়েলকাম দিচ্ছেন সিনিয়র দাদারা। আমাদের এক হৃষ্টপুষ্ট বন্ধুর হাতে এক সিনিয়র দাদা গোলাপ ফুলের সঙ্গে ধরিয়ে দিলেন পেল্লাই সাইজের একটি কাতলা মাছ। সেইসঙ্গে ঘোষণা করলেন আজ থেকে ওর নাম দেওয়া হল ‘কাতলা’। কাতলাই বটে। চেহারার সঙ্গে একদম মানানসই। সারা অনুষ্ঠান জুড়ে বয়ে গেল […]

  17. আগেকার

    আসল পাহাড়টা এখানেও না- খাদে গড়িয়ে সন্দেহের স্থান দেখিয়ে দেবে-কতটা পথ পেরোলে সরু নিব ভেঙে টপ করে দেখা যাবে লাল কালি পড়া- যদি বলি নাব্যতা-যেখানে উপত্যকা সেখানে লাল রক্তের ঘর। পরিষ্কার করে বলবে তারা যারা নিজেদের গল্প রাখতে পেরেছে বয়ঃসন্ধি থেকে বার্দ্ধক্যে পৌঁছানোর মাঝে,হাতে সময় রেখে মৌজে মৌজে বেঁচেছে, একসময় ভজনকে তারা ধমকাবার এক্তিয়ার পায় […]

  18. হাতেখড়ি

    হাতেখড়ি – ১   পুরোহিত মশাই নতুন শ্লেটের ওপর সাদা চকটা রেখে কালো শ্লেটটা ধরে একবার সরস্বতী ঠাকুরের পায়ে ঠেকিয়ে নিজের মাথায় ঠেকালেন আর তারপর ঠেকালেন পাশে বসা হলুদ শাড়ি পরা বাচ্চা মেয়েটার মাথায়, তারপর বললেন – ‘কি নাম মা তোমার?’ উত্তর এল – ‘ছুচিসমিতা।’ -‘বাব্বা, নামের বাহার তো খুব!’ বলে ঠোঁট ওলটালেন আপন খেয়ালে। […]

  19. স্নান

    এক বালতি গরম জল। ঘড়িতে সময়…ঠিক সকাল আটটা পনেরো। কাঁটায় কাঁটায় বাজলেই শুরু হয়ে যায় চাপান উতোর। ব্যপারটা প্রায় রোজই হয় অনেকটা এরকম…এই বাড়িতে একটা ইমার্সন হীটার আছে, যা দিয়ে এঁরা স্নানের জন্য জল গরম করে থাকেন। সারাবছরের বাঁধাধরা কাজ। দুজনকেই গরম জলে স্নান করতে হয়। দুজনেরই ভয়ানক ঠাণ্ডার ধাত। সারাবছর ধরে এঁদের কারণে, অকারণে […]

  20. শিল্পের মশাল/সম্পাদকীয়

    ‘গল্পের সময়’।‘সময়’এই কথাটির আন্তর অভিঘাতে আমরা কি কখনও ডাকঘরের অমলের মতো অনেক রাতে বিছানায় উঠে বসে শুনেছি কি –“…বাইরের কোন্ অন্ধকারের ভিতর দিয়ে ঘন্টা বাজছে ঢং ঢং ঢং।” অথবা যেখানে সে ফকিরকে বলছে – “ কত দিন কত রাত ধরে সে কেবলই নেমে আসছে। পাহাড়ের পায়ের কাছে ঝরনার পথ যেখানে ফুরিয়েছে সেখানে বাঁকা নদীর পথ […]

  21. কামড়ুম জংশন*

    [একটি গল্প, বা যে কোনও লেখাই, একবার পঠিত হওয়ার পর পাঠককে পুনর্পাঠের অনুরোধ করা যায় না। সেটা অন্যায়। একই নামে, ‘কামড়ুম জংশন’ গল্পটি সদ্যই যা এবছরের শারদ ‘নতুন গল্পপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর আমি আরেকটি গল্প হিসেবে একই নামে এই গল্পটি লিখেছি। কবে ভিন্নতা বোঝাতে এই গল্পটির নামের পাশে একটি (*) তারকা চিহ্ন দিয়েছি। যাঁরা […]

  22. ঘুরে দাঁড়ানো

    কাগজে খবরটি পড়েই অন্তরাত্মা হায় হায় করে উঠেছিল। পরক্ষণেই ক্রোধ। প্রচণ্ড ক্রোধ। ক্রোধ প্রশমিত হওয়ার পর দাদাসুলভ সহানুভূতি। ভুল করলি ভাইটি। বড় ভুল। খুব ভালো রেজাল্ট করে খানাকুল না চাঁপাডাঙার ওদিক থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এলি কলকাতায়। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে। জানি তো আমাদের ইংরিজিতে ভুল হয়। গ্রামারে নয়। প্রোনানসিয়েশনে। আমরা গার্ডিয়ানকে বলি গার্জেন, কোয়েশ্চেনকে […]

  23. কালসর্প

    দিনগুলি বৃষ্টির মতই ফোঁটাফোঁটা গলেগলে পড়ে গেলো। বাদলের মেঘ- ঘন আকাশ। পিঁপড়েগুলো। সাদা ডানায় পরি হলো। মুঠো থেকে পড়ে গেলো পাতা ঝরার বয়স। আর্যর কতোক পাতা মিশে গেছে মাটির মধ্যে। কতোক পুড়ে গেছে। কতোক আদপোড়া হয়ে নিভে গেছে। তারপর? কলমি শাকের বিছানা। পটলের বালিশ। স্নানযাত্রা। অরোনা … ছুটির দিনে আর্য যখন ঘরের কৌটো-বাওটা ম্যাগাজিন পুরানো […]

  24. মেঘের চিঠি

    মায়ের কাছে পড়তে বসতাম। আমার পড়ার সময়ে মায়ের মুখটা আলোয় ভরে যেত।মা বলতেন,ভাল করে পড়ে মানুষ হও। লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায় আমরা ঘরভাড়া নিয়ে থাকতাম বাবার চাকরিসূত্রে।ভাড়া বাড়ির সামনে একটা কুলগাছ ছিল। টালির চাল। তখন চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল খুব। আমার বাবা সন্ধে হলেই দরজা জানলা বন্ধ করে দিতেন। আমরা চার ভাই। কিন্তু বড়দা গ্রামের বাড়িতে কাকাবাবুর […]

  25. একজন কুকুরের জবানবন্দি

    এভাবে যে ধীরে ধীরে আমি একটা হই হই কাণ্ডের মধ্যে ঢুকে পড়ব তা কোনওদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। কোনও একটা ঘটনা, তার প্রভাব, তার অভিঘাত যে এরকমভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে সে কথা ভাবতে আজ আমার কেমন যেন আশ্চর্য লাগে। কীভাবে যেন কী হয়ে গেল? আজ প্রতিটা মানুষ শিউরে উঠছে আমার বলা কথা শুনে। বলছে এও কী […]

  26. বুমেরাং

    “মন্টু, শুনলাম নাকি ওই নীল দোতলা বাড়ির ছোট ছেলেটার করোনা হয়েছে?” “হ‍্যাঁ জেঠিমা আমিও তাই শুনলাম।” “হবে না ,চোপর দিন মোটরসাইকেলে কাঁধে সিলিন্ডার মিলিন্ডার নিয়ে ডাক্তার সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি না কি সব গ্ৰুপ ট্রুপ খুলে মানুষের সেবা করছে।আরে বাবা তুই কি ডাক্তার ?বেশি পাকা !এই করে এ পাড়ায় তো ওই করোনা ঢোকালো!” মন্টু জলের […]

  27. ওই লোকটার কী হবে ?

    পালসিটে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হওয়ার পর শক্তিগড়ে ল্যাংচা বিরতি । তখন বাসযাত্রী ও চালক কন্ডাক্টারের দশ-পনেরো মিনিটের দ্রুত অবসরযাপন । ল্যাংচা কেনা, খাওয়া এবং প্যাকেটবন্দি করে ব্যাগে ভরার বাইরেও চা-কচুরি-মুড়িমশলা-শশা-ডাব-জিলিপি । পাশাপাশি,  পুরুষযাত্রীদের বেআবরু হাইওয়ের দুপাশে বেপরোয়া জলবিয়োগ । মহিলাদের কথা ভেবে দোকান সংলগ্ন ছোট ছোট টিনঘেরা টয়লেট । সেখানে শাড়ির পেছনে চুড়িদার, তার পেছনে […]

  28. GS-SARAD-SOUMITRA-BLOG
    গ্রাম ছুঁয়ে গ্রামের গল্প

    আমরা বসেছি বলরাম মণ্ডলের দাওয়াতে।  মণ্ডল মশাই বড় গৃহস্থ। সিলিং-সারপ্লাস জমি যাওয়ার পরেও হাতে যা আছে, তা চাষ করতে বেশ কিছু মুনিশ মাহিন্দার লাগে। মাথা ছাড়ানো চওড়া দেয়ালের একদিকে নিচু দরজা দিয়ে মাথা নামিয়ে ঢুকতে হয় তাঁর বাড়িতে। এক কোণে বেশ বড় গোয়াল। দুটো মরাই। আমাকে যারা মণ্ডল মশাইয়ের খোঁজ দিয়েছেন, বাড়ি পর্যন্ত সঙ্গে এসেছেন […]

  29. স্ত্রীধন

    ভোর হতে না হতেই  দুধ দোয়াতে আসে রামু গোয়ালা আর খবরের কাগজ নিয়ে বিকাশের সাইকেলের টুং টাং শব্দে জেগে ওঠে এই পাড়াটা। কেউ কেউ নিমদাঁতন হাতে পঞ্চায়েতের বসানো টিউবওয়েল এর কাছে এসে বিকাশকে ডেকে একটা খবরের কাগজ কিনে নেন। গুটি গুটি পায়ে এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে দু চারজন বেকার বৃদ্ধ বের হয়ে এসে ওই […]

  30. দিব্যেন্দু পালিতের মুখোমুখি

    [ সাক্ষাৎকারটি উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত ‘চিত্রকল্প’ পত্রিকায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত।সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর।লেখক,অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভের সৌজন্যে তা ‘গল্পের সময়’-এর পাঠকদের জন্য তা ফের প্রকাশিত হল।] অনিন্দ্য :   লেখার সময় আপনার উপন্যাস কি অতর্কিতে বাঁক নেয়,  নাকি সমস্তটাই আগে থেকে ছকে নেন ? দিব্যেন্দু :  যে কোন লেখাই স্থিরীকৃত পথে না- চলার সম্ভাবনাই […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2024 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ