Tag Archives: ত্রিদিবেশ বন্দ্যোপাধ্যায়


  1. রেন রেন কাম এগেন

    বাড়ি ফিরে এসে মনোরমা একটু চুপচাপই হয়ে গেল।  সিনেমা দেখার পর ওরা সাধারণত আলোচনা করে। দুজনেই অল্পবিস্তর সিনেমা বোঝে। সিনেমাকে ওরা বই বলে না,  বিশ্লেষণ করতে পারে, পন্ডিতদের মত নয় নিজেদের মত করেই। মেয়েদের আবেগ একটু বেশি হয়, মনোরমার ও তাই। কিন্তু অপরেশ একটু কাটাছেঁড়া করতে ভালবাসে। তাই মাঝে মাঝে তর্ক বিতর্কও হয়ে যায়। তা […]

  2. ইচ্ছে হয়ে ছিলি

    মানুষের জীবনে অবসর কি কাঙ্ক্ষিত? যখন মানুষ কাজের মধ্যে থাকে, উদয়াস্ত পরিশ্রম করে সংসার প্রতিপালন করে, সন্তানদের মানুষ করে তাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে তখন কখনো কখনো মনে হয় বটে, ‘কবে যে অবসর পাবো’! তারপর একদিন গুটি গুটি এসে যায় অবসরের দিন। মনে হয়, “আঃ বাঁচা গেল, এবার একটু আরাম করব”। সত্যিই আরাম করার দিন এখন […]

  3. মাঝরাতে রাজপথে

    বলাকা বলেছিল “বন্ধুর বিয়ে, অনেকটা দূর। পৌঁছে দেবে? ফেরার সময় আসতে হবে না, বন্ধুদের সঙ্গে চলে আসব।“  সুমন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ কিছু বলেনি। কারণ বলাকা  জানত এর উত্তর ‘না’ হয় না। রিকশা থেকে নেমে বলাকা উজ্জ্বল পোশাকে আলোকিত তোরণ দিয়ে বিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করলো। একটু গিয়ে পিছন ফিরে দেখলো, সুমন তখনও দাঁড়িয়ে, টিমটিমে ল্যাম্প পোস্টের আলোয়, […]

  4. ইলেকশন ডিউটি

    মলয়বাবুর মাথায় যেন বজ্রাঘাত হল। সারাজীবন বিহারে কাটিয়ে একমাস হল কলকাতায় হেডঅফিসে বদলি হয়ে এসেছেন। এখনো অফিসের ঘাঁতঘোত বিশেষ বোঝেননি। অসুবিধায় পড়লে যে কাকে ধরতে হবে, অফিসের মধ্যে কেন্দ্রবিন্দুটি যে ঠিক কোথায়,  তার হদিস এখনও করে উঠতে পারেননি। ফলে তিনি চোখে অন্ধকার দেখলেন। মলয়বাবু চিরকালই শান্তিপ্রিয় লোক- ঝুটঝামেলায় তাঁর বড় ভয়। সেরকম সম্ভাবনা দেখা দিলেই […]

  5. হজম শক্তি

    বৃটিশ আমলে যখন গঙ্গার ধারের শহরতলিতে চটকল ও অন্যান্য কলকারখানা গড়ে উঠলো তখন বাঙালি শ্রমিক হতে রাজি হয়নি। মধ্যবিত্ত শ্রেণি একচেটিয়া ভাবে অফিসে বাবু শ্রেণির কাজ করেছে। কিন্তু নিম্নবর্গের মানুষজন কারখানায় কাজ করতে আসেনি। এই সমস্ত কাজ একচেটিয়া ভাবে বিহার থেকে আসা মানুষের দখলে চলে যায়। এদের সঙ্গে আসে বিহারের দলিত শ্রেণির মানুষ। সাফাইওয়ালার কাজে […]

  6. কখন তোমার আসবে টেলিফোন

    -হ্যালো – -হ্যাঁ- বল…। – ফোন করনি কেন ? -আমিতো ভাবছিলাম তুমি করবে । -আগের দিন আমি করেছিলাম, এবার তো তোমার করার কথা ছিল । -তাই- না ? আমার একদম মনে ছিল না যে এবার আমার পালা । তবে ফোন করার আবার পালাপালি কিসের ? -তুমি  সেই একই রকম আছ । । পাঁচটায় আসার কথা, […]

  7. ইউসুফ মিঞার জমি

    সকাল বেলাই সুরজিতের ডাক পড়ল ডিরেক্টর সাহেবের ঘরে । হেড অফিসের চিঠি ধরিয়ে দিয়ে বললেন- মিঃ মন্ডল, পানাগড়ে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন, পানাগড় নিয়ে লড়াইও করলেন অনেক, এবার গিয়ে প্রজেক্ট গুটিয়ে ফেলুন তাড়াতাড়ি। ইন্সপেকশন বাংলো রেডি করে রাখতে বলেছি, কিছু স্টাফ এখনও আছে । দুজন স্টোরকিপার থাকছে, তাদের নিয়ে আসেট লিস্ট তৈরি করে তাড়াতাড়ি ডিসপোসাল […]

  8. ফাউ

    এক অভিষেক সাধারনতঃ একটু বেশি রাতেই ফোন করে। অনেকক্ষণ কথা বলে ওরা। কালও কথা হয়েছে। তাই রবিবার দুপুরে খাবার সময়ে ওর ফোন পেয়ে একটু অবাকই হল শিউলি। ফোনটা নিয়ে নিজের ঘরে গেল। -হ্যাঁ -বল। হঠাৎ এই সময়ে? – আজ বিকেলে বালি ব্রীজের ওপর আসতে পারবে? -কেন? হয় তুমি উত্তরপাড়ায় চলে এস, নইলে আমি বরানগর চলে […]

  9. সাগর মেলার কিশোর ও অন্য গল্প

    সাগর মেলার কিশোর   সাগর মেলায় লক্ষ মানুষের ভীড়।বেশীর ভাগেরই উদ্দেশ্য পূণ্যস্নান, কপিল মুনির মন্দিরে পুজো দেওয়া।তার মধ্যে বহু মানুষ হাজির রোজগারের তাড়নায়।দোকানী, ফেরিওয়ালা, মালিশ ওয়ালা, জ্যোতিষী, টোটকা ওষুধ বিক্রেতা, আরও কত পেশার মানুষ হাজির মেলাপ্রাঙ্গনে কিছু রোজগারের আশায়।ভিখারীরাও সার দিয়ে বসে থাকে  প্রাপ্তির আশায়।মানুষ পূণ্য সঞ্চয় করে সাগরে স্নান ক’রে, মন্দিরে পুজো দিয়ে, ভিখারীকে ভিক্ষে […]

  10. হাঁটি হাঁটি পা পা ও অনান্য গল্প

    হাঁটি হাঁটি পা পা হাঁটি হাঁটি পা পা। এইতো হয়েছে- এবার এই পা টা, এবার ওই পা। বিমলা মেয়ের হাতটা ছেড়ে দিয়ে দুহাত বাড়িয়ে কোলে নেবার ভঙ্গী করে। দিশা খিল খিল করে হেসে নিজে নিজেই একটা দুটো পা ফেলে ঝাঁপিয়ে পড়ে মায়ের কোলে। বিমলা প্রবাসী স্বামীকে চিঠি লেখে –জানো, দিশা আজ হেঁটেছে, নিজে নিজে। … […]

  11. ওল্ড ইজ নট গোল্ড

    আরে ছ্যা ছ্যা ছ্যা। আজকালকার এগুলি কি গান! কোথায় গেল সেই বাংলা গানের স্বর্ণযুগ! হেমন্ত, মান্না, সতীনাথ, ধনঞ্জয়……। কতনাম করব! সেই স্বর্ণযুগের গান শুনে যারা বড় হয়েছেন তাঁদের কাছে আজকের এই জীবনমুখী গান বা ব্যান্ডের বীভৎস চিৎকার বিভীষিকা বই কি! বর্তমান লেখকও সেই দলে। শুধু গান কেন? ট্রেনে বাসে, পাড়ার রকে, পারিবারিক আড্ডায়, মফঃস্বলের রেল […]

  12. সেই রাত

    পঞ্চাশ বছর আগের এই শহরটাকে যেন অচেনা লাগে অশীতিপর সত্যরঞ্জন চৌধুরীর। রিক্সা করে যেতে যেতে দুধারে যাই দেখেন তাই যেন অচেনা।তবু জীবনের প্রথম পঁচিশটা বছর তো কাটিয়ে ছিলেন এই শহরে। সেই স্মৃতি নিয়ে চলেছেন পুরোন এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে।গলির মুখে এসে একটু দোনামনা করে শেষে  ঢুকে পড়লেন।রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে বাড়িটার দিকে তাকালেন। […]

  13. মা

    মাটিতে হাত দিয়ে খেতে নেই, খেতে বসে হাঁচলে মাটি থেকে একটা ভাত কুড়িয়ে খেতে হয়। কাউকে যাবার সময় পেছু ডাকতে নেই।খেয়ে উঠে আঁচিয়ে গোড়ালি ভিজিয়ে পা ধুতে হয়।তখন বড় হচ্ছি, সব কিছুতেই ‘কেন’ বলাটা যেন বাহাদুরি। মা বলত অত কেন বলতে নেই। বারণ করছি শোন। দুধ মুড়ির বাটিতে কলা ছাড়িয়ে দেবার সময় মা কলাটা ভেঙে […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2023 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ