পুরানো সংখ্যা:

  1. ছায়া দীর্ঘতর

    শ্রীরামপুরে গঙ্গার ধারে মদের কারখানা । তবে সে এখন অতীত। অতি বৃদ্ধ সে । মুখ বন্ধ বসে আছে । নেশা তার দিকে আর কাউকেই টেনে আনে না । বোতলের টুংটাং পিয়ানো বাজেনা আর , কাউকে কিছু পিয়ানোর দায়ও নেই তার এখন। তার সামনেই সিমেন্ট বাঁধানো গোল বেঞ্চিটা এখন খুব জীর্ণ। জঞ্জালময়।   কত আগাছা ভিড় করে […]

  2. ইলেকশন ডিউটি

    মলয়বাবুর মাথায় যেন বজ্রাঘাত হল। সারাজীবন বিহারে কাটিয়ে একমাস হল কলকাতায় হেডঅফিসে বদলি হয়ে এসেছেন। এখনো অফিসের ঘাঁতঘোত বিশেষ বোঝেননি। অসুবিধায় পড়লে যে কাকে ধরতে হবে, অফিসের মধ্যে কেন্দ্রবিন্দুটি যে ঠিক কোথায়,  তার হদিস এখনও করে উঠতে পারেননি। ফলে তিনি চোখে অন্ধকার দেখলেন। মলয়বাবু চিরকালই শান্তিপ্রিয় লোক- ঝুটঝামেলায় তাঁর বড় ভয়। সেরকম সম্ভাবনা দেখা দিলেই […]

  3. অভিনেত্রীর খোঁজে

    উল্টোদিকের সোফায় বসে থাকা মেয়েটা এতক্ষণ মন দিয়ে একটা ম্যাগাজিন পড়ছিল। পত্রিকাটা মুখের ওপর থেকে সরিয়ে নিতে এবার ওর পুরো মুখটা দেখতে পেল রাজীব। হাতের ম্যাগাজিনটা বেশ খানিকটা জোরেই নিচু টেবিলটায় রাখল মেয়েটা। মুখে বেশ বিরক্তিচিহ্ন। বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই বেলা এগারোটা থেকে অপেক্ষা করছে, আর এখন প্রায় চারটে বাজে। রাজীবেরও এবার বেশ অধৈর্য লাগছিল। […]

  4. ডিসেকশন হলের ভূতেরা

    নবীন বরণ উৎসব চলছে। নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ফ্রেসারস ওয়েলকাম দিচ্ছেন সিনিয়র দাদারা। আমাদের এক হৃষ্টপুষ্ট বন্ধুর হাতে এক সিনিয়র দাদা গোলাপ ফুলের সঙ্গে ধরিয়ে দিলেন পেল্লাই সাইজের একটি কাতলা মাছ। সেইসঙ্গে ঘোষণা করলেন আজ থেকে ওর নাম দেওয়া হল ‘কাতলা’। কাতলাই বটে। চেহারার সঙ্গে একদম মানানসই। সারা অনুষ্ঠান জুড়ে বয়ে গেল […]

  5. আগেকার

    আসল পাহাড়টা এখানেও না- খাদে গড়িয়ে সন্দেহের স্থান দেখিয়ে দেবে-কতটা পথ পেরোলে সরু নিব ভেঙে টপ করে দেখা যাবে লাল কালি পড়া- যদি বলি নাব্যতা-যেখানে উপত্যকা সেখানে লাল রক্তের ঘর। পরিষ্কার করে বলবে তারা যারা নিজেদের গল্প রাখতে পেরেছে বয়ঃসন্ধি থেকে বার্দ্ধক্যে পৌঁছানোর মাঝে,হাতে সময় রেখে মৌজে মৌজে বেঁচেছে, একসময় ভজনকে তারা ধমকাবার এক্তিয়ার পায় […]

  6. হাতেখড়ি

    হাতেখড়ি – ১   পুরোহিত মশাই নতুন শ্লেটের ওপর সাদা চকটা রেখে কালো শ্লেটটা ধরে একবার সরস্বতী ঠাকুরের পায়ে ঠেকিয়ে নিজের মাথায় ঠেকালেন আর তারপর ঠেকালেন পাশে বসা হলুদ শাড়ি পরা বাচ্চা মেয়েটার মাথায়, তারপর বললেন – ‘কি নাম মা তোমার?’ উত্তর এল – ‘ছুচিসমিতা।’ -‘বাব্বা, নামের বাহার তো খুব!’ বলে ঠোঁট ওলটালেন আপন খেয়ালে। […]

  7. স্নান

    এক বালতি গরম জল। ঘড়িতে সময়…ঠিক সকাল আটটা পনেরো। কাঁটায় কাঁটায় বাজলেই শুরু হয়ে যায় চাপান উতোর। ব্যপারটা প্রায় রোজই হয় অনেকটা এরকম…এই বাড়িতে একটা ইমার্সন হীটার আছে, যা দিয়ে এঁরা স্নানের জন্য জল গরম করে থাকেন। সারাবছরের বাঁধাধরা কাজ। দুজনকেই গরম জলে স্নান করতে হয়। দুজনেরই ভয়ানক ঠাণ্ডার ধাত। সারাবছর ধরে এঁদের কারণে, অকারণে […]

  8. শিল্পের মশাল/সম্পাদকীয়

    ‘গল্পের সময়’।‘সময়’এই কথাটির আন্তর অভিঘাতে আমরা কি কখনও ডাকঘরের অমলের মতো অনেক রাতে বিছানায় উঠে বসে শুনেছি কি –“…বাইরের কোন্ অন্ধকারের ভিতর দিয়ে ঘন্টা বাজছে ঢং ঢং ঢং।” অথবা যেখানে সে ফকিরকে বলছে – “ কত দিন কত রাত ধরে সে কেবলই নেমে আসছে। পাহাড়ের পায়ের কাছে ঝরনার পথ যেখানে ফুরিয়েছে সেখানে বাঁকা নদীর পথ […]

  9. কামড়ুম জংশন*

    [একটি গল্প, বা যে কোনও লেখাই, একবার পঠিত হওয়ার পর পাঠককে পুনর্পাঠের অনুরোধ করা যায় না। সেটা অন্যায়। একই নামে, ‘কামড়ুম জংশন’ গল্পটি সদ্যই যা এবছরের শারদ ‘নতুন গল্পপত্র’ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর আমি আরেকটি গল্প হিসেবে একই নামে এই গল্পটি লিখেছি। কবে ভিন্নতা বোঝাতে এই গল্পটির নামের পাশে একটি (*) তারকা চিহ্ন দিয়েছি। যাঁরা […]

  10. ঘুরে দাঁড়ানো

    কাগজে খবরটি পড়েই অন্তরাত্মা হায় হায় করে উঠেছিল। পরক্ষণেই ক্রোধ। প্রচণ্ড ক্রোধ। ক্রোধ প্রশমিত হওয়ার পর দাদাসুলভ সহানুভূতি। ভুল করলি ভাইটি। বড় ভুল। খুব ভালো রেজাল্ট করে খানাকুল না চাঁপাডাঙার ওদিক থেকে অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়তে এলি কলকাতায়। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্সে। জানি তো আমাদের ইংরিজিতে ভুল হয়। গ্রামারে নয়। প্রোনানসিয়েশনে। আমরা গার্ডিয়ানকে বলি গার্জেন, কোয়েশ্চেনকে […]

  11. কালসর্প

    দিনগুলি বৃষ্টির মতই ফোঁটাফোঁটা গলেগলে পড়ে গেলো। বাদলের মেঘ- ঘন আকাশ। পিঁপড়েগুলো। সাদা ডানায় পরি হলো। মুঠো থেকে পড়ে গেলো পাতা ঝরার বয়স। আর্যর কতোক পাতা মিশে গেছে মাটির মধ্যে। কতোক পুড়ে গেছে। কতোক আদপোড়া হয়ে নিভে গেছে। তারপর? কলমি শাকের বিছানা। পটলের বালিশ। স্নানযাত্রা। অরোনা … ছুটির দিনে আর্য যখন ঘরের কৌটো-বাওটা ম্যাগাজিন পুরানো […]

  12. মেঘের চিঠি

    মায়ের কাছে পড়তে বসতাম। আমার পড়ার সময়ে মায়ের মুখটা আলোয় ভরে যেত।মা বলতেন,ভাল করে পড়ে মানুষ হও। লিলুয়ার পটুয়াপাড়ায় আমরা ঘরভাড়া নিয়ে থাকতাম বাবার চাকরিসূত্রে।ভাড়া বাড়ির সামনে একটা কুলগাছ ছিল। টালির চাল। তখন চোর ডাকাতের উপদ্রব ছিল খুব। আমার বাবা সন্ধে হলেই দরজা জানলা বন্ধ করে দিতেন। আমরা চার ভাই। কিন্তু বড়দা গ্রামের বাড়িতে কাকাবাবুর […]

  13. একজন কুকুরের জবানবন্দি

    এভাবে যে ধীরে ধীরে আমি একটা হই হই কাণ্ডের মধ্যে ঢুকে পড়ব তা কোনওদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। কোনও একটা ঘটনা, তার প্রভাব, তার অভিঘাত যে এরকমভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে সে কথা ভাবতে আজ আমার কেমন যেন আশ্চর্য লাগে। কীভাবে যেন কী হয়ে গেল? আজ প্রতিটা মানুষ শিউরে উঠছে আমার বলা কথা শুনে। বলছে এও কী […]

  14. বুমেরাং

    “মন্টু, শুনলাম নাকি ওই নীল দোতলা বাড়ির ছোট ছেলেটার করোনা হয়েছে?” “হ‍্যাঁ জেঠিমা আমিও তাই শুনলাম।” “হবে না ,চোপর দিন মোটরসাইকেলে কাঁধে সিলিন্ডার মিলিন্ডার নিয়ে ডাক্তার সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি না কি সব গ্ৰুপ ট্রুপ খুলে মানুষের সেবা করছে।আরে বাবা তুই কি ডাক্তার ?বেশি পাকা !এই করে এ পাড়ায় তো ওই করোনা ঢোকালো!” মন্টু জলের […]

  15. ওই লোকটার কী হবে ?

    পালসিটে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হওয়ার পর শক্তিগড়ে ল্যাংচা বিরতি । তখন বাসযাত্রী ও চালক কন্ডাক্টারের দশ-পনেরো মিনিটের দ্রুত অবসরযাপন । ল্যাংচা কেনা, খাওয়া এবং প্যাকেটবন্দি করে ব্যাগে ভরার বাইরেও চা-কচুরি-মুড়িমশলা-শশা-ডাব-জিলিপি । পাশাপাশি,  পুরুষযাত্রীদের বেআবরু হাইওয়ের দুপাশে বেপরোয়া জলবিয়োগ । মহিলাদের কথা ভেবে দোকান সংলগ্ন ছোট ছোট টিনঘেরা টয়লেট । সেখানে শাড়ির পেছনে চুড়িদার, তার পেছনে […]

  16. GS-SARAD-SOUMITRA-BLOG
    গ্রাম ছুঁয়ে গ্রামের গল্প

    আমরা বসেছি বলরাম মণ্ডলের দাওয়াতে।  মণ্ডল মশাই বড় গৃহস্থ। সিলিং-সারপ্লাস জমি যাওয়ার পরেও হাতে যা আছে, তা চাষ করতে বেশ কিছু মুনিশ মাহিন্দার লাগে। মাথা ছাড়ানো চওড়া দেয়ালের একদিকে নিচু দরজা দিয়ে মাথা নামিয়ে ঢুকতে হয় তাঁর বাড়িতে। এক কোণে বেশ বড় গোয়াল। দুটো মরাই। আমাকে যারা মণ্ডল মশাইয়ের খোঁজ দিয়েছেন, বাড়ি পর্যন্ত সঙ্গে এসেছেন […]

  17. স্ত্রীধন

    ভোর হতে না হতেই  দুধ দোয়াতে আসে রামু গোয়ালা আর খবরের কাগজ নিয়ে বিকাশের সাইকেলের টুং টাং শব্দে জেগে ওঠে এই পাড়াটা। কেউ কেউ নিমদাঁতন হাতে পঞ্চায়েতের বসানো টিউবওয়েল এর কাছে এসে বিকাশকে ডেকে একটা খবরের কাগজ কিনে নেন। গুটি গুটি পায়ে এ বাড়ি ও বাড়ি থেকে দু চারজন বেকার বৃদ্ধ বের হয়ে এসে ওই […]

  18. দিব্যেন্দু পালিতের মুখোমুখি

    [ সাক্ষাৎকারটি উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত ‘চিত্রকল্প’ পত্রিকায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত।সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর।লেখক,অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভের সৌজন্যে তা ‘গল্পের সময়’-এর পাঠকদের জন্য তা ফের প্রকাশিত হল।] অনিন্দ্য :   লেখার সময় আপনার উপন্যাস কি অতর্কিতে বাঁক নেয়,  নাকি সমস্তটাই আগে থেকে ছকে নেন ? দিব্যেন্দু :  যে কোন লেখাই স্থিরীকৃত পথে না- চলার সম্ভাবনাই […]

  19. ঘনাদা-মন্দার বোস সংবাদ

    [ মাঝে মাঝে স্বপ্নে কিংবা জাগরণে এমন কিছু মানুষজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়ে যায় যারা আমার বহুকালের চেনা অথচ কোথাও যেন অচেনাও বটে। সেইসব সাক্ষাৎকারের গল্প শুনে বন্ধুরা হাসে, বিশ্বাস করতে চায় না, ভাবে গুল মারছি। তাই আমার নিজের কথাগুলো নিজের কাছেই রেখে দিই আজকাল। তেমনই একটা অভিজ্ঞতার কথা লিখলাম এইখানে, সেইসব পাঠকের ভরসায় যারা এখনও […]

  20. মা, সেজোমামা আর আমাদের রেডিওটা

    গনেশ চ্যাটার্জির মেয়ে বোধহয় এবার হেরেই যাচ্ছে।   ছমাস ধরে। রোজ একটু করে। আরেকটু করে।   মা এখন হাঁটতে গেলে পড়ে যায়।  দোতলার বারান্দার জানালা দিয়ে রামুকে আর বকেনা – বাগানের কাজে ফাঁকি দিলেও।   কল্পনাকে ব্যাগের থেকে টাকা বের করে বাজার করতে দেয়না আর।   সে ব্যাগটাই হারিয়ে গেছে কবে।  চেনা মুখগুলো হারিয়ে যাচ্ছে স্মৃতি থেকে।  সুখ দুঃখের কত স্মৃতির অনুক্রম বদলে যাচ্ছে। প্রতিদিন।  মাকে আজকাল বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়নি কতদিন ।   আমার ভাইপো সমীর ডাক্তার ছিলো। অনেক ভালো ভালো […]

  21. মহালয়া মানেই মন কেমন

    আমাদের মহালয়াতে রেডিও ছিল। কাশফুল ছিল, খড়ে নদীর ধারে বেড়ানো ছিল। ভোরবেলা তখন শিশির পড়তো, হিম হিম ঠাণ্ডা লাগতো। বীরেন ভদ্র তখন বছরে একবারই শোনা যেত, যখন তখন ক্যাসেট চালানোর রেওয়াজ ছিল না। একেবারে তিথি মেনে দেবীপক্ষের সূচনাতেই তাঁর জাগো জাগো মা শুনে আমাদের মন কেমন করে উঠত। দেখতুম বাবা মায়ের মুখে হাসি, চোখে জল। […]

  22. অন্য ভূমিকায়

    ‌ ( এক ) —  কীসব আবোলতাবোল কথা বলছিস  পাগলের মতো।এ হয়না,কখনও হতে পারেনা। নিজের চিৎকারে নিজেই চমকে উঠলো দীপক। স্বাতী পাশেই দাঁড়িয়ে। দীপক আর স্বাতীর হাত দুটো বরুণ তখনও তার দু’হাতের তালুর মধ্যে বজ্রমুষ্টিতে ধরে আছে। হাসপাতালের কেবিনে সেই মূহূর্তে ওরা তিনজন। একটু পরে হাসপাতালের লোকেরা ট্রলি নিয়ে আসবে । বরুণকে নিয়ে যাবে আইসিসিইউতে। […]

  23. অঘনাশন

    ১  পাদুটো মুঠোয় ধরে উলটো করে ঝুলিয়ে দ্রুত পিঠে হালকা কয়েকটা চাপড় মারার পরই বেবী কেঁদে উঠলো । ওটি নার্স, ডাক্তার অলোক, পেডিয়াট্রিশিয়ান আর এনাসথেটিসটদের সারজিক্যাল মুখোশ ঢাকা  মুখগুলো  থেকে একটা ক্ষীণ ও-ও আওয়াজ বেরিয়ে এলো ।     সুমিতাভ হাঁফ ছেড়ে একটা নিশ্বাস নিয়ে তাড়াতাড়ি বাঁপাশে দাঁড়িয়ে থাকা নার্সের প্রসারিত হাতের মধ্যে বেবিকে দিয়ে […]

  24. হজম শক্তি

    বৃটিশ আমলে যখন গঙ্গার ধারের শহরতলিতে চটকল ও অন্যান্য কলকারখানা গড়ে উঠলো তখন বাঙালি শ্রমিক হতে রাজি হয়নি। মধ্যবিত্ত শ্রেণি একচেটিয়া ভাবে অফিসে বাবু শ্রেণির কাজ করেছে। কিন্তু নিম্নবর্গের মানুষজন কারখানায় কাজ করতে আসেনি। এই সমস্ত কাজ একচেটিয়া ভাবে বিহার থেকে আসা মানুষের দখলে চলে যায়। এদের সঙ্গে আসে বিহারের দলিত শ্রেণির মানুষ। সাফাইওয়ালার কাজে […]

  25. নষ্ট মেয়ের গল্প

    “ হ্যাঁ রে হিয়া , তোর শরীর ঠিক আছে তো ?” লতা জানতে চায় । “ হ্যাঁ । কিন্তু হঠাৎ তুমি জানতে চাইছ কেন !” হিয়া অবাক হয়ে বলে । “ না, এ মাসে তো ঘরের পেছনের দড়িতে কিছু দেখলাম না ! তাই বললাম আর কি ।“ এমনিতেই তো সারাটা দিন মেয়েটার সাথে কথা হয় […]

  26. ভাইরাস

    একটানা প্রায় ঘন্টা দুয়েক বকবক লোকাল চালানোর পর থামল জনি । একটা মাঝারি অক্সি-ক্যান থেকে এক ফুসফুস অক্সিজেন ইনটেক করল,  এই কোম্পানির অক্সিজেনটা অনেক ফ্রেস।   ঠিক যেন হাজার বছর আগের ভোরবেলার অক্সিজেন । এই ব্র্যান্ডটাই ব্যবহার করে  জনি । তাই এই সতেরতেও বেশ ইয়াংই আছে জনি। জনি রয়।  বিখ্যাত রয় অ্যান্ড  রয় কোম্পানির মালিক মিস্টার […]

  27. মেয়েলি সাজ

    -হ্যালো, ডাক্তারবাবু বলছেন? – হাঁ, বলছি। – একবার আমাদের বাড়িতে আসতে হবে এখুনি। -কেন কি হয়েছে? -আমার  বৌমা হঠাৎ খুব অসুস্হ হয়ে পড়েছে। হাত-পা ছেড়ে দিয়েছে। খুব ঘামছে আর বলছে বুকের ভেতরটা কেমন করছে। কেউ যেন চেপে ধরেছে। আপনি ডাক্তারবাবু প্লিজ একবার আসুন এখুনি। – দেখুন চেম্বারে কয়েকজন রোগী আছেন এখনও। ওদেরকে দেখে আসছি। – […]

  28. স্বেচ্ছা নির্বাসন

    ফেসবুকের সার্চ লেখা জায়গাটায় গিয়ে দময়ন্তি টাইপ করে “অর্কপ্রভ ব্যানার্জি”। প্রায় ছয় বছর পর দময়ন্তির মনে পড়ে তারও একটা ফেসবুক আ্যকাউন্ট ছিল। অর্কই খুলে দিয়েছিল এই মুখপত্রিকা। এতগুলো বছরে সাইক্রিয়াটিস্ট দময়ন্তি বসুর একবারও মনে আসেনি ফেসবুকের কথা। সময়, ইচ্ছে কোনোটাই নেই তার। সারাদিন কেটে যায় কতরকম গল্প শুনতে। সকাল থেকে হরেকরকম চরিত্র।তাদের বিভিন্ন মানসিক স্টেটাস আপডেট করারএকমাত্র নির্ভরযোগ্য স্থান দময়ন্তির চেম্বার। তাই দময়ন্তির […]

  29. দলিত

    (১) সবাই বলে পটাই। এমনকি মেয়েরাও, নির্দ্বিধায়। পটাই আসলে কিন্তু কমরেড। পটাই-এর কেউ নেই। কিন্তু পার্টি আছে। কমরেড কথাটা শুনলে পটাইয়ের খুব হাসি পায়, শালা লাল পার্টির অফিস, চারদিক লালে লাল আর শালা বলে কিনা কমরেড! স্ট্রাইকারে খেলত পটাই। ফুটবলের স্পিরিটটা মন থেকে যায়নি। তাই এই মরা বাজারেও পার্টি অফিসটা আগলে পড়ে আছে। আড়ালে ওর […]

  30. স্বপ্নের বাড়ি

    তাড়াতাড়ি করে হাতের কাজ সারছিল রুমি। যদি একটু সময় বাঁচিয়ে আজ আগে আগে তিন্নিকে স্কুল থেকে আনতে যেতে পারে তাহলে স্কুলে পৌঁছানোর আগে একবার মায়ের কাছে ঢুঁ মেরে যাবে। কদিন যাবৎ মায়ের শরীরটা একদম ভালো যাচ্ছে না। এমনিতে মায়ের প্রেসার হাই। ইদানিং চিন্তা করে করে আবার সুগারটাও বাড়িয়ে ফেলেছে। তাছাড়া হাঁটুর ব্যথা, বাত, অম্বল এসবতো […]

যোগাযোগ


email:galpersamay@gmail.com

Your message has been sent. Thank you!

গল্পের সময় পরিবার
সমীর
অগ্নীশ্বর
দেবাশিস
চিন্ময়
পার্থ
মিতালি
জাগরণ
দেবব্রত

© 2016 - 2025 গল্পের সময়। ডিজাইন করেছেন অগ্নীশ্বর। নামাঙ্কন করেছেন পার্থ