গল্প নয়
-
‘গল্পের সময়’ উৎসব সংখ্যা’২৩,লেখা আহ্বান
আসছে উৎসবের সময় কিছু গল্প,কিছু কথায় তাতে সামিল হতে চলেছে ‘গল্পের সময়’। আমাদের সঙ্গে এই আয়োজনে সামিল হোন আপনিও। ২পর্বে প্রকাশিত হবে উৎসব সংখ্যা (সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর সংখ্যা) লেখা পাঠান ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ এর মধ্যে। আপনার হয়ে ওঠা গল্পটি পাঠিয়ে দিন আমাদের। লেখা পাঠান ১৫ সেপ্টেম্বর’২৩ এর মধ্যে ই মেল – galpersamay@gmail.com ……………………………………. লেখা পাঠানোর জন্য […]
-
‘আষাঢ়ে গল্প’, লেখা পাঠান আপনিও
এসেছে আষাঢ় মাস… আকাশ অন্ধকার আর ঝমঝম বৃষ্টি এই তো সময়… অগস্ট সংখ্যায় আমাদের বিষয় ‘আষাঢ়ে গল্প’ গল্প পাঠান আপনিও/২৫ জুলাই’২০২৩-এর মধ্যে ই মেল – galpersamay@gmail.com লেখা পাঠানোর জন্য … ১। আমাদের অনলাইন পত্রিকা। www.galpersamay.com টাইপ করলেই পত্রিকাটি দেখতে পাবেন। ২। সকলেই গল্প পাঠাতে পারেন।আপনার লেখার অপেক্ষাতেই আমরা। ভাল গল্প প্রকাশ করাই আমাদের উদ্দেশ্য। তবে […]
-
বাসা বদল
আমার জন্ম ওপার বাংলার মানিকগঞ্জের এক গ্রামে। আমাদের গ্রাম থেকে আধ ঘন্টা লাগত কালিগঙ্গা নদীর কাছে পৌঁছতে। আমার তো তখন বয়েস কম , এই দশ কী এগারো । তাই পায়ে জোরও কম। দাদুভাই খুব তাড়াতাড়ি হাঁটতেন। তিনি ছিলেন পূজারী ব্রাহ্মণ। তাঁর নারায়ণশিলাখানি সঙ্গে নিয়ে গ্রামের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে ঘুরে ঘুরে পুজো সারতেন। দিন শেষে পাওয়া […]
-
ধূমপানে বাঙালি ও বাংলা সিনেমা
শিরোনামেই যেখানে ধূমপানের সঙ্গে বাঙালি ও বাংলা ছবি যুক্ত হয়েছে তখন বাঙালির সঙ্গে অন্য প্রদেশের মানুষ এবং বাংলা ছবির সঙ্গে অন্য ছবির তুলনা আসবেই। এ কথা স্বীকার করে নেওয়া ভাল যে আমাদের হাতে এমন নির্দিষ্ট তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই যা থেকে বাঙালি ও অন্য প্রদেশবাসীর ধূমপানের অভ্যাস অথবা বাংলা ও হিন্দী ছবিতে ধূমপানের প্রতিতুলনা করা […]
-
ব্রহ্মদত্যির থান,নগরী,ঘাট দুর্লভপুর
আমরা যখন খটঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে পৌঁছলাম, তখন বেলা গড়িয়ে গেছে। খুব সকালে রওয়ানা হয়ে চার সহকর্মী এসেছিলাম ভাণ্ডিরবনে। পথপ্রদর্শক সুকুমারবাবু এখানে আমাদের বিদায় জানিয়ে লম্বোদরপুরের পথ ধরলেন। আমরা তিনজন এগোলাম নগরী গ্রামের দিকে। মনে পড়ল, নগরী গ্রামের সবথেকে প্রভাবশালী রায় পরিবার এই গ্রামে আসার আগে ছিলেন খটঙ্গার কাছেই নডিহি গ্রামে। আঠেরো শতকের দ্বিতীয়ার্ধে নেহালচন্দ্র […]
-
বাংলা,বাঙালি, নতুন বছর- আজকের প্রজন্মের সম্ভাব্য চিন্তা
বাঙলা নববর্ষ, সেটা মাথায় রেখেই ভাবনার খাত কাটা এখন। দেখা যাচ্ছে বাঙলা বছরের শেষপাতাটাই শুধু ক্যালেণ্ডারে টিঁকে আছে। এবার নতুন ক্যালেণ্ডার আসবে। নস্যাৎ হয়ে গেলো একটু একটু করে গোটা একটা বরষকাল। ইংরেজি মাপেই হোক বা বাঙলা মাপে, বিশেষ একটি সম্বৎসর,-যার বারোটি মাস ‘নেই’ হয়ে গেল যে। পড়ে গেল ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। হালখাতা হবে, মিষ্টি খাওয়া, আগেকার […]
-
এসো হে বৈশাখ…
আজকাল ইংরেজি নববর্ষ পালনের ঘটা তো ঘনঘটায় পরিণত হয়েছে। অথচ চৈত্র শেষের দিনটা কবে যাচ্ছে আর বৈশাখের প্রথম দিনটা কবে আসছে সেসব নিরুচ্চারই রয়ে যায়।বাংলা বর্ষবরণ বা বাংলা ভাষা নিয়ে পাগলামির জায়গা গুলো আজকাল নেহাৎই সংকুচিত হয়ে আসছে।সন্ধিক্ষণে দুম দাম বাজি ফাটিয়ে, উদ্দাম ডি জে-র ছন্দে মাতোয়ারা হয়ে বা শ্যাম্পেনের ফোয়ারা স্নাত হয়ে তো বাংলা […]
-
গল্পের সময়।। শারদ অধ্যায়।। ১ম পর্ব ।। ২০২২
‘গল্পের সময়’ গল্পের আয়োজক। নতুন নতুন গল্পের। কখনও কখনও ‘গল্পের সময়’ বিশেষ সময়ের গল্পের আয়োজন করে। যেমন ‘কালান্তক কালের গল্প’। প্রত্যেক গল্পকার বা কথাশিল্পী তাঁর ‘কাল’কে স্পর্শ করে থেকেই গল্প বা শিল্প রচনা করেন। কিন্তু, তাঁর রচিত শিল্প যা স্পন্দমান জীবনেরই সমতুল সে কিন্তু তার নিহিত বর্তমানেই নিঃশেষিত হয় না। বহমান থাকে কালান্তরে সহৃদয়-হৃদয় পাঠকের […]
-
তুমিও গল্প বলো
একটা ভালো গল্পের জন্ম হয় কিন্তু তার মৃত্যু নেই,এমনটাই বিশ্বাস আমাদের। একটা ভালো গল্প একজন পাঠকের বুকের ভেতর বেঁচে থাকে চিরকাল। সেই পাঠকের হাত ধরেই তা পৌঁছে যায় পরবর্তী প্রজন্মের কাছে। এমনভাবেই তো হাজার বছর আগের গল্প আজও শুনে চলেছি আমরা। আমরা চাই একটা ভালো গল্প উন্মুক্ত হোক বহু পাঠকের কাছে। গভীর যত্নে, মমতায় প্রাণ […]
-
গ্রামের ধারে,দিঘির পাড়ে
লম্বোদরপুর গ্রামের মুখেই সুকুমারবাবু আমাদের তিনজনের দলটাকে থামালেন। আজ আমার সঙ্গী সহকর্মী রথীন চক্রবর্তী আর মানিক সরকার। সুকুমারবাবুও আমাদের সহকর্মী। লম্বোদরপুরেই থাকেন। উনিশশো তিয়াত্তর সালে বালক বয়সে একবারই ভাণ্ডীরবন গিয়েছি এ কথা শোনার পর প্রায় জোর করে এই রবিবারের সকালে আমাদের টেনে এনেছেন। ভাণ্ডীরবন সিউড়ি শহরের খুব কাছেই। কাল রাতে সিউড়িতেই ছিলাম। সকাল সকাল রথীনবাবুরা […]
-
ব্রতকথা,গল্পদাদু ও তেচোখা মাছের গল্প
সুনীল বড় হয়েছে বন জঙ্গলের আদর পেয়ে । ছোটো থেকেই মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে থেকেছে। বাবা থাকলেও তার সঙ্গে ভাব ছিলো না সুনীলের। তাকে এড়িয়ে চলতো সুনীল।তার কারণ বাবা খুন রাগী লোক। সবসময় মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে। মাকে গালগালি দেয়। মনের মধ্যে সুনীলের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নেই শৈশব থেকেই। সে তার মায়ের কাছে থাকে। পাড়ার […]
-
নীল খাতা
সেবার ভাদ্রমাসে জেঠিমা শৈলবালা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লেন। বাড়ির সক্কলের তিনি বড়-মা। তাঁকে দেখাশোনা করেন আমাদেরই এক জ্ঞাতি পিসি বিনু। সেবার বিনু পিসিও গেলেন তাঁর সতীন-পোর ছেলের মুখে ভাতে। বাড়িতে সেরকম দেখভাল করার লোক নেই। বড়মা শৈলবালা মানুষটা আবার তেমন সুবিধের নয় বলে কাজের মেয়ে হরিদাসী কাছে ঘেঁষে না। পান থেকে চুনটি খসার জো নেই। […]
-
আসছে ‘শারদ অধ্যায়’২০২২
বাঙালি গল্প শুনতে ভালোবাসে, বাঙালি গল্প শোনাতেও ভালোবাসে। তিন বাঙালি এক জায়গায় হয়েছে আর সব কাজকর্ম শিকেয় তুলে ঘণ্টা খানেক জমিয়ে গল্প-গুজব করে নি এমন ঘটনা একসময় ছিল দুর্লভ ব্যাপার। মজলিসে বসে জামার পকেট বা আস্তিন একটু ঝাড়াঝাড়ি করলে দু-একটি কাহিনী বা কিস্সা টুক করে ঝরে পড়তই। আড্ডাবাজ বাঙালির সেই কৌলিন্যে আজ ভাঁটার টান। আন্তর্জাতিক […]
-
চলো যাই ভিন দেশে
১ উৎসবের দিন হলে বড়মা থালা সাজিয়ে খেতে দেন। বড় জেঠু আর বাবা একসঙ্গে খেতে বসেন। আজ সংক্রান্তি। আজ আমাদের নিরামিষ আহার। প্রায় সাতটা কাঁসার বাটি; বড় কাঁসার থালার পাশে সাজানো। বড়মা ধীর স্থির শান্ত স্বভাবের মানুষ। দেশ যে আজ উত্তপ্ত তার কোন ছাপ বড়মার মুখের কোথাও নেই। এই মাধবদীতে তিনি সবার বড়মা। সে কী […]
-
আউল গোঁসাই এর সমাধি
সকাল সকাল বেরিয়ে পড়েছি। দ্বারিকবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে বিজুরি গ্রামের সামনে রাস্তায় দাঁড়াবেন। সাঁইথিয়া হয়ে পৌঁছতে এক ঘন্টার সামান্য বেশি সময় লাগে। কিন্তু আমি ঠিক করেছি পাকা সড়ক না ধরে সাংড়া আর হাতোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামগুলোর মধ্য দিয়ে গিয়ে সিউড়ি সাঁইথিয়া সড়কে উঠব। সপ্তাহখানেক আগে ঈশ্বরপুর-হাতোড়া রাস্তা মোরাম বোল্ডার দিয়ে […]
-
রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সাহিত্যে পরিবেশ চেতনা
” মানুষ অমিতাচারী । যতদিন সে অরণ্যচর ছিল ততদিন অরণ্যের সঙ্গে পরিপূর্ণ ছিল তার আদানপ্রদান ; ক্রমে সে যখন নগরবাসী হল অরণ্যের প্রতি মমত্ববোধ সে হারাল; যে তার প্রথম সুহৃদ, দেবতার আতিথ্য যে তাকে প্রথম বহন করে এনে দিয়েছিল , সেই তরুলতাকে নির্মমভাবে আক্রমণ করলে ইঁটকাঠের বাসস্থান তৈরি করবার জন্য । আশীর্বাদ নিয়ে এসেছিলেন যে […]
-
যে হাসি অগাধ করে তোলে
শুধু কবিতার জন্য এ জীবনে কত কিছু হল! কত আলো, কত অন্ধকার৷ কত সম্মান, কত বঞ্চনা। শুধু কটা শুদ্ধ অক্ষর, যদিও নিতান্ত সব নিজ সুখ দুঃখের গালগল্প। বৃহৎ বোধের থেকে কত দূর তারা৷ আমার আজকাল লজ্জাই লাগে। এতো তো পাবার কথা ছিল না কোন। বেঁচে থাকতে থাকতে যখন ক্লান্ত হয়ে উঠি তখন আশীর্বাদের ঝাঁপি খুলে […]
-
বাংলা নববর্ষের আয়োজন,অণু গল্প সংখ্যা
স্বাগত ১৪২৯। অনুভবী পাঠক, মরমী মনস্বী লেখক আর যাঁরা আমাদের সকল সময়ের ভাবনাসঙ্গী, আজ চোদ্দোশো উনত্রিশে ‘গল্পের সময়’-এর পক্ষ থেকে সকলকে ভালবাসা অভিনন্দন। ‘গল্পের সময়’ গল্প ও সাহিত্য বিষয়ক লেখালিখির একটি প্ল্যাটফর্ম। তাতে ভবিষ্যতে লেখা পাঠানোর আমন্ত্রণ রইল।‘গল্পের সময়’এর কথা প্রিয়জন,বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনের কাছে পৌঁছে দিলে ভাল লাগবে। ।। গল্পের সময়।। গোটা বিশ্বের বাঙালির গল্পের […]
-
সেইসব বই… সেইসব দিন… আর সেই সোভিয়েত…
আজ পিছন ফিরে সেসব দিনের কথা মনে করলে, মনে হয় সে যেন এ জন্মের কথা নয়, সে যেন এ পৃথিবীর বাস্তব নয়। অন্য এক জগ, অন্য এক জন্মের কাহিনি। অথচ বেশি দিন আগের কথা তো নয়। গত শতাব্দীর আশির দশকের শেষ, নব্বইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত সে সব স্বর্ণখনি আসত আমাদের হাতে। বলা বাহুল্য অতি সুলভ মূল্যে। […]
-
সত্যজিৎ- এর গল্প – মননে সান্দ্র বেদনার্ত
জীবনের সব স্বাদ যদি নাও পাওয়া যায় বিচিত্র কয়েকটির অভিজ্ঞতা হয় তাও জীবন সার্থক। অপরিসীম এই গ্রহটির প্রাণবৈচিত্র্য। যখন গল্প লিখছেন মুগ্ধ বিস্মিত সত্যজিৎ মনে হয় কৌতুকপ্রবণ পৃথিবীর রসলীলার ভাণ্ডারটি ছেলেমানুষদের সামনে তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর । দেখা যায় বা দেখা যায় না এই তর্ক বহুদূর তাঁর গল্পের বেড়াজাল থেকে, শুধু হেঁটেই যাওয়া তার জন্য, যাকে […]
-
অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’
আমরা অনেক বিখ্যাত সাহিত্যিকের কথা জানি যাঁরা আবির্ভাবেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এবং তাদের প্রথম রচনাকেই লেখকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি বলে গণ্য করাহয়। সৈয়দ ওয়ালীঊল্লাহ (১৯২২–১৯৭১) র অভিষেক উপন্যাস ‘লাল সালু’ তেমনই একটি সৃষ্টি। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ চট্টগ্রামে এক শিক্ষিত পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।১৯৪৩ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে স্নাতক হন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ পাঠরত অবস্থায় […]
-
‘বোজ’-এর বিলেতি যাদুকথা
যদিও সেটি তাঁর প্রথম বই, কিন্তু আমি পড়লাম অনেকটাই দেরীতে। মাত্রই বছর পাঁচেক আগে। এক হেমন্তসন্ধ্যায় একজন চেনা মানুষ বইটির বিষয়ে বললেন আমাকে। এই বইটির কথা, সত্যি বলতে কি, বহু দিন পর্যন্ত জানাই ছিল না আমার! সে একান্তই এবং অবশ্যই আমার অজ্ঞতা। ইংরাজী সাহিত্যের ছাত্র হলে হয়ত ছাত্রাবস্থাতেই জেনে যেতাম। পাকেচক্রে তেমনটা না হওয়ায় পদ্ধতিগত […]
-
নানা পাঠ,নানা রঙের বই
বাবলি… শেষ কৈশোরের মুখচোরা লাজুক অভিমানী রঙ কেমন? পড়ন্তবেলার অরণ্যে যখন অস্তমিত সূর্যের ছায়াকে ম্লান করে জ্যোৎস্না ফুটে ওঠে সেই রঙ ধরতে পারা বড় কঠিন। গনগনে দুপুরের আঁচে যখন বইতে থাকে আগুন বাতাস আর কুবোপাখির ডাকে যে ছটফটানি ডুবতে ডুবতেও ভেসে ওঠে – সেই ছবি আঁকতে পারাও কি কম কঠিন কোনও চিত্রকরের কাছে? কিন্তু এই […]
-
আক্কা মহাদেবীর আলো
সুহৃদেষু, অনেকদিন পর তোমাকে চিঠি লিখতে বসেছি। পুবের জানলা দিয়ে রোদ এসে পড়ছে মেঝেতে। শ্বেতকরবীর গুচ্ছ হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছে তাদের ফুলেল মঞ্জরি। ভোরের আলোয় কী এক অরূপ শুদ্ধতা থাকে, না! মন আপনিই কেমন উদার হতে চায়। কদিন হল বই পড়ছি একটা। দ্বাদশ শতকের কর্ণাটকের লোকায়ত ভাষায় বীরশৈব সাধক কবিরা যে সব ‘বচন’ রচনা করেছিলেন তাদের […]
-
অনেক বিস্মৃত সময়ের হিজিবিজি ছবি আঁকতে জানে যে বইটা
“নেত্য ধোপানি কাপড় কাচে মন পবনের ঘাটে এ বিষ পাইল কোথা সাঁতালি পর্বতে …” যে উপন্যাস বা বই এর ব্যাপারে অতি সামান্য কিছু বলব, সেটার প্রেক্ষাপট যে কোনো হদ্দ গ্রাম এটা আশা করি উপরের পংক্তির ডায়ালেক্ট দেখেই আন্দাজ করা গেছে। একটা কথা শুরুতে বলে রাখা ভালো, তাতে অনেকের আশাভঙ্গ হলেও হতে পারে, আবার কদাচিৎ কেউ […]
-
‘গল্পের সময়’ যা বলতে চায়
এই দুহাজার তেইশে ‘গল্পের সময়’ এসে দাড়িয়েছে ঠিক সেই বিন্দুতে যা অতীত লগ্ন থেকে ভবিষ্যৎ অগ্রগমনের প্রাগ্রসর মুহূর্ত। কিছুটা পথ পেরিয়ে এসে এই একক কম্প্রমান দ্বীপের মতো মুহূর্তটিতে দাঁড়িয়ে প্রবহমান কালের অবিচ্ছিন্ন স্রোতকে যেন একবার বুঝে নেওয়া যায় হয়তবা।‘গল্পের সময়’-এর দীর্ঘপথ অতিক্রমেরর কোনো মহিমান্বিত অভিজ্ঞতা নেই। সে পেরিয়ে এসেছে মাত্র ছয়টি বছর। আর এই ছয় […]
-
শিল্পের মশাল/সম্পাদকীয়
‘গল্পের সময়’।‘সময়’এই কথাটির আন্তর অভিঘাতে আমরা কি কখনও ডাকঘরের অমলের মতো অনেক রাতে বিছানায় উঠে বসে শুনেছি কি –“…বাইরের কোন্ অন্ধকারের ভিতর দিয়ে ঘন্টা বাজছে ঢং ঢং ঢং।” অথবা যেখানে সে ফকিরকে বলছে – “ কত দিন কত রাত ধরে সে কেবলই নেমে আসছে। পাহাড়ের পায়ের কাছে ঝরনার পথ যেখানে ফুরিয়েছে সেখানে বাঁকা নদীর পথ […]
-
গ্রাম ছুঁয়ে গ্রামের গল্প
আমরা বসেছি বলরাম মণ্ডলের দাওয়াতে। মণ্ডল মশাই বড় গৃহস্থ। সিলিং-সারপ্লাস জমি যাওয়ার পরেও হাতে যা আছে, তা চাষ করতে বেশ কিছু মুনিশ মাহিন্দার লাগে। মাথা ছাড়ানো চওড়া দেয়ালের একদিকে নিচু দরজা দিয়ে মাথা নামিয়ে ঢুকতে হয় তাঁর বাড়িতে। এক কোণে বেশ বড় গোয়াল। দুটো মরাই। আমাকে যারা মণ্ডল মশাইয়ের খোঁজ দিয়েছেন, বাড়ি পর্যন্ত সঙ্গে এসেছেন […]
-
দিব্যেন্দু পালিতের মুখোমুখি
[ সাক্ষাৎকারটি উত্তরবঙ্গ থেকে প্রকাশিত ‘চিত্রকল্প’ পত্রিকায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত।সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর।লেখক,অনুবাদক অনিন্দ্য সৌরভের সৌজন্যে তা ‘গল্পের সময়’-এর পাঠকদের জন্য তা ফের প্রকাশিত হল।] অনিন্দ্য : লেখার সময় আপনার উপন্যাস কি অতর্কিতে বাঁক নেয়, নাকি সমস্তটাই আগে থেকে ছকে নেন ? দিব্যেন্দু : যে কোন লেখাই স্থিরীকৃত পথে না- চলার সম্ভাবনাই […]
-
ঘনাদা-মন্দার বোস সংবাদ
[ মাঝে মাঝে স্বপ্নে কিংবা জাগরণে এমন কিছু মানুষজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়ে যায় যারা আমার বহুকালের চেনা অথচ কোথাও যেন অচেনাও বটে। সেইসব সাক্ষাৎকারের গল্প শুনে বন্ধুরা হাসে, বিশ্বাস করতে চায় না, ভাবে গুল মারছি। তাই আমার নিজের কথাগুলো নিজের কাছেই রেখে দিই আজকাল। তেমনই একটা অভিজ্ঞতার কথা লিখলাম এইখানে, সেইসব পাঠকের ভরসায় যারা এখনও […]